কলকাতা: প্রশিক্ষণহীন (Untrained) ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের (Primary Teacher) নিয়োগ (Recruitment) বাতিলের (Cancel) নির্দেশের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) প্রশিক্ষণ না থাকা শিক্ষকদের (Teacher) চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলেন। সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হবে পর্ষদ। এদিন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল (Goutam Pal) বলেন, আমি নির্দ্বিধায় বলছি, সঠিক সময়ে সঠিক আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করব। এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়ে উল্লেখ ছিল ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগে অ্যাপটিটিউড টেস্টে (Aptitude Test) বেনিয়ম হয়েছে। সেই অভিযোগ এদিন অস্বীকার করেন পর্ষদ সভাপতি। তিনি বলেন, আইনি পদক্ষেপ করা হবে। যখন তাঁরা চাকরি পেয়েছেন তখন তাঁরা নিশ্চয়ই যোগ্যতামান পূরণ করেছেন। ২০১৬ সালের নিয়ম মেনেই তাঁরা চাকরি পেয়েছেন। আমার কাছে যে তথ্য আছে। তাঁরা যোগ্যতামান পূরণ করেই চাকরি পেয়েছেন।
এদিন হাইকোর্টে যে অর্ডার হয়েছে তাতে চাকরি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য নীচে দেওয়া হল, প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নেওয়া হয় ২০১৪ সালে। তাতে উত্তীর্ণরা শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ২০১৬তে অংশ নেয়। তাতে ৪২,৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিযুক্ত হয়। সেসময় ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়ম ছিলো, অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিতে হবে। অভিযোগ, অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। মামলাকারী পরিক্ষার্থীদের যুক্তি, অ্যাপটিটিউড টেস্টে নম্বর তাদের দেওয়াই হয়নি। কেউ ০, কেউ ১ পেয়েছে। প্রশিক্ষণ যাদের রয়েছে তাঁদের প্রতি বঞ্চনার জন্যই অ্যাপটিটিউড টেস্টের নামে কারচুপি করে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রশিক্ষণহীনদের সুযোগ দিতেই এমন কারচুপি বলে অভিযোগ। বক্তব্য, মামলাকারীদের অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের নম্বর দেওয়া হলে তারা মেধাতালিকায় জায়গা পেতেন।
আরও পড়ুন: Diploma Doctor | ডাক্তারিতে ডিপ্লোমা কোর্স, বিরোধিতায় চিকিৎসকরা
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পরীক্ষকদের(Interviewers) ডেকে বয়ান রেকর্ড করেন। অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি বলে সরাসরি জানান অনেক পরীক্ষক। এছাড়া সংরক্ষণ নীতিতেও অনিয়মের অভিযোগ। উল্লেখ্য, শুক্রবার আদালত জানিয়েছে, বাতিল হওয়া শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ আর চার মাস। চার মাসের পর ছাড়তে হবে চাকরি। এই চার মাস পার্শ্বশিক্ষকদের (Para Teacher) সমতুল বেতন পাবেন তাঁরা। তিন মাসের মধ্যে ৩৬ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে। রাজ্য সরকার চাইলে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সম্পত্তি থেকে টাকা কেটে নতুন নিয়োগের খরচ বহন করতে পারে।