নয়াদিল্লি: ‘কেরালা স্টোরি’র (The Kerala Story) মুক্তিতে স্থগিতাদেশ জারির (Stay Order) আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আদাহ্ শর্মা (Adah Sharma) অভিনীত এই ছবির ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই কেরালা স্টোরি নিয়ে জাতীয় ও কেরলের রাজনীতিতে তুফান উঠেছে। এই ছবির বিষয়বস্তুতে কদর্য ঘৃণা এবং সিনেমায় ধর্ম বিদ্বেষের কথা রয়েছে। এমনটাই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল এবং নিজাম পাশা। কিন্তু, বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বি ভি নাগরত্নের বেঞ্চ সেই আবেদনের শুনানি নাকচ করে দেয়। বেঞ্চ আবেদনকারীদের আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাইকোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সিনেমাটি সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র দিয়েছে। ফলে ছবির ছাড়পত্র মঞ্জুর করাকে নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানানোর জায়গা এটা নয়। ছবির মুক্তি আটকানো এবং এতে ঘৃণাভাষণ রয়েছে, এ দুটোকে এক করে দেখা যায় না। কারণ ছবিটি সার্টিফিকেট পেয়েছে একটি অনুমোদিত কর্তৃপক্ষের তরফে। ফলে আপনারা সেটা নিয়ে অন্য কোথাও যান, কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে নয়। এর জবাবে পাশা বলেন, এখানে কদর্য ঘৃণার কথা রয়েছে। আগামী শুক্রবার ছবিটি দেশজুড়ে মুক্তি পেতে চলেছে। আমাদের হাতে আর সময় নেই। তাই আমরা সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। তার উত্তরে বেঞ্চ বলে, একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ছবিটি সেন্সরের ছাড়পত্র পেয়েছে। আপনারা কেন প্রথমে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্টে যাচ্ছেন না? তখন সিবাল বলেন, মধ্যাহ্নভোজের সময় আপনারা ইউটিউবে প্রকাশিত ট্রেলারের ভাষাগুলো শুনুন। তারপর সিদ্ধান্ত নিন। এরমধ্যে আমরা কালকের ভিতর অতিরিক্ত আরেকটি আবেদন করব।
আরও পড়ুন: Job | ২০২৭ সালের মধ্যে ১.৪ কোটি মানুষ চাকরি হারাবেন
অন্যদিকে, কেরালা স্টোরি নিয়ে টুইট করার পরেও কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ শশী থারুরের দাবি, তিনি ছবিটিকে নিষিদ্ধ করার কথা বলেননি। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন এই ছবিতে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কেরলের বাস্তব থেকে চোখ ঘোরানোর চেষ্টা হয়েছে। আর একটি টুইটে থারুর লিখেছেন, প্রত্যেক কেরলবাসীর অধিকার আছে অসত্য কথাকে জোর গলায় অসত্য বলা।
এদিকে, কেরলের ৩২ হাজার মহিলাকে ধর্মান্তরিত করে মুসলিম দেশে প্রধানত আইসিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, ছবির এই বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে একটি মুসলিম সংগঠন এবং এক আইনজীবী। তাদের দাবি, একথা প্রমাণ করতে পারলে ১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।