কলকাতা সহ দেশজুড়ে জঙ্গিদমন অভিযানে নামল এনআইএ (NIA) এবং ইডি (ED)। জঙ্গিদের অর্থসাহায্য করে এমন ব্যক্তি বা সংস্থার বাড়ি ও অফিসে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একযোগে এই তল্লাশি অভিযান চলছে। এ পর্যন্ত প্রায় শ’খানেকের বেশি নেতা ও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার (PFI) ১০০ জনের বেশি নেতাকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এদের বিরুদ্ধে জঙ্গি তালিম শিবির চালানো, পিএফআইয়ে যোগ দেওয়ার জন্য মগজধোলাই করার অভিযোগ রয়েছে।
১০টি রাজ্যে চলা এই তল্লাশি অভিযানকে তাবৎকালের সবথেকে বড় তল্লাশি অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। কলকাতার (Kolkata) তিলজলা এলাকায় শেখ মোক্তার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে এদিন ভোররাত থেকে তল্লাশিতে নেমেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এখানেও পিএফআইয়ের অফিস রয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুসহ কর্নাটকের অন্তত ১০টি জায়গায় এই তল্লাশি চলছে। পিএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি নাজির পাশার বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: Weather Update: আজ বেলা বাড়তেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
ম্যাঙ্গালুরুতে পিএফআই এবং সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার(SDPI) বাজপে, নেল্লিকাই রোড, কুলাই ও কাভুরের অফিসেও এনআইএ-ইডির আধিকারিকরা তল্লাশি চালাচ্ছেন। বেশ কয়েক জায়গায় তল্লাশির প্রতিবাদে দুই সংগঠনের সমর্থকরা অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। সে কারণে বিপুল পরিমাণে আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে।
তল্লাশির প্রতিবাদে পিএফআই এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এ ধরনের তল্লাশিকে ফ্যাসিবাদের সঙ্গে তুলনা করে তারা বলেছে, প্রতিবাদী ভাষাকে এভাবে চুপ করানোর চেষ্টা চলছে। তাদের সংগঠনের জাতীয়, রাজ্য ও স্থানীয় নেতাদের বাড়ি ও রাজ্য কমিটির অফিসগুলিতে তল্লাশি চলছে বলে তাদের অভিযোগ। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ুতেও একযোগে তল্লাশি চলছে।