কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে ক্ষমা চাইলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সেই সঙ্গে সোনিয়াকে প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা জানিয়ে দিলেন, দলের সভাপতি পদে তিনি প্রার্থী হতে চান না। তাঁর রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা না থাকা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্বও তিনি সভানেত্রীর উপর ছেড়ে দিয়েছেন। শীর্ষ কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাপারে কংগ্রেস সভানেত্রী দুএকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন।
আরও পড়ুন: আমেদাবাদে জাতীয় গেমসের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
বৃহস্পতিবার দুপুরে গেহলট সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, রবিবার জয়পুরে তাঁর অনুগামী বিধায়কদের বিদ্রোহের জন্য গেহলট অনুতপ্ত বলে জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, ওই বিদ্রোহের পিছনে তাঁর কোনও হাত ছিল না। যদিও কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করেন, গেহলটের ইন্ধন ছাড়া ওই ঘটনা ঘটতে পারে না। এর জন্য তিনি যে রীতিমতো বিরক্ত, সোনিয়া তা পরিষ্কার বুঝিয়ে দেন প্রবীণ ওই কংগ্রেস নেতাকে। গেহলটের অনুগামীরা মনে করছেন, কংগ্রেস সভানেত্রীর মন গলানো গিয়েছে। ক্ষমা চেয়ে তিনি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকার বিষয়টি পাকা করে নিলেন। যদিও তা নিয়ে সরকারি ভাবে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা মুখ খুলতে চাননি। এক প্রবীণ নেতা বলেন, কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রার্থী চূড়ান্ত করা আমাদের অগ্রাধিকার।
আগামিকাল, শুক্রবার সভাপতি পদে মনোয়নপত্র পেশ করার শেষ দিন। সেক্ষেত্রে বৃহস্পতিবারই প্রার্থী বাছাই চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে। এখন পর্যন্ত যা খবর, সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে দিগ্বিজয় সিং এবং শশী থারুরের মধ্যে। দিগ্বিজয় গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। থারুর আবার বিক্ষুব্ধ জি ২৩ গোষ্ঠীর নেতা। যদিও তিনি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে চলেছেন। আগামিকাল দুজনেই মনোনায়ন পেশ করবেন। এখন দেখার, তৃতীয় কেউ মনোনয়ন পেশ করেন কি না। সোনিয়া গান্ধী অন্য কাউকে দাঁড়াতে বলবেন কি না, রাজনৈতিক মহলের কৌতূহল রয়েছে তা নিয়েও। তবে ওই মহল মনে করছে, আপাতত রাজস্থান সংকট কাটিয়ে উঠতে চলেছে কংগ্রেস।