কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী (Union Law Minister) কিরণ রিজিজুর উপস্থিতিতে শনিবার বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (Bar Council of India)সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এবার কলেজিয়াম ব্যবস্থার পক্ষে সওয়াল করলেন সম্প্রতি দেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব আসা ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। একইসঙ্গে তাঁর মন্তব্য,জেলা স্তরের বিচারকরা প্রায়শই জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। তার অন্যতম মূল কারণ, ওই বিষয়ে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা।
কিছুদিন আগে সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) সরাসরি দেশে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচলিত কলেজিয়াম ব্যবস্থার সমালোচনা করে জানিয়ে দেন, গোটা বিশ্বে ভারতবর্ষই নাকি একমাত্র দেশ যেখানে বিচারপতিরাই নিয়োগ করেন বিচারপতিদের। আর শনিবারের অনুষ্ঠানে গুজরাট হাইকোর্টের আইনজীবীদের ধর্মঘটের প্রসঙ্গ তুলে প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, এমনটাই যদি চলতে থাকে তাহলে গোটা বিচারব্যবস্থার পরিনতি কি হবে।
একজন বিচারপতির বদলি নিয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন সে রাজ্যের আইনজীবীরা। আর এই প্রসঙ্গেই কলেজিয়াম ব্যবস্থার পক্ষে সওয়াল করে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (Dhananjaya Y Chandrachud)বলেন, জাতীয় স্তরের প্রেক্ষিত মাথায় রেখে ওই সমস্ত নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে হয় কলেজিয়ামকে। সব ক্ষেত্রে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
সম্প্রতি দেশের প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। শনিবার তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। ওই অনুষ্ঠানেই তিনি নিজের বক্তব্যে বুঝিয়ে দেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কাজ করতে হয় জেলা স্তরের আদালতগুলির বিচারকদের (District Judge)।
বার কাউন্সিলের অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতগুলি জামিনের আবেদনে ভরে থাকে। আর তৃণমূল স্তরের বিচারকরা জামিন মঞ্জুর করতে সামগ্রিক ভাবে অপারগ আছেন বা অনিচ্ছুক থাকেন এমনটাই তাঁরা নিজেদের আদেশে বুঝিযে দেন। কিন্তু এই অবস্থান কেন? তাঁর কারণ কিন্তু কোনওভাবেই এমন নয় যে, তাঁরা অপরাধের প্রকৃতি বোঝার ব্যাপারে অপারগ, আসলে সব থেকে নিম্ন স্তরের আদালতে নানা অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন দিলে তাঁরা নিশানা হয়ে যেতে পারেন, এমনই আশঙ্কায় থাকেন বিচারকরা।’’ বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার আয়োজিত ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের আইনমন্ত্রী।