শ্রীনগর: ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) আমার জীবনের সবচেয়ে গভীর ও সুন্দর অভিজ্ঞতা। এই যাত্রা শেষ হয়নি। এটা প্রথম পদক্ষেপ। এটা শুরু। রবিবার শ্রীনগরে ভারত জোড়ো যাত্রা শেষে এই মন্তব্য করলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কন্যাকুমারিকা থেকে ওই যাত্রা শুরু হয়েছিল। ৪০০০ কিমি পথ হেঁটে ১৩৫ দিনে শেষ হল এই যাত্রা। সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল বলেন, এই যাত্রায় অনেক কিছু শেখা হল। যা আমার কাছে শব্দ নেই বোঝানোর জন্য।যাত্রার লক্ষ্য ছিল ভারতকে জোড়া। দেশে যে হিংসা, ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে তার বিরুদ্ধে এই যাত্রা ছিল। সত্যি কথা বলতে কারও প্রত্যাশা ছিল না মানুষের কাছ থেকে এত ভালোবাসা ভরা সাড়া পাব। ভারতের সাধারণ মানুষের যে শক্তি আছে তা সরাসরি দেখার সুযোগ পেলাম।
দার্শনিক ভঙ্গীতে রাহুল এদিন আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক শ্রেণী (Political Class) ও সাধারণ মানুষের (General Public) মাঝে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। দুয়ের মধ্যে যোগাযোগ এখন মিডিয়া, ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে হচ্ছে। এই দূরত্ব কম হোক। তিনি আরও বলেন, এই যাত্রা শুধু কংগ্রেস পার্টির ছিল না। দেখা গিয়েছে, সাধারণ মানুষ এই যাত্রাতে বেশি হেঁটেছেন। এই যাত্রা একটা বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গী দিয়েছে। রাজনীতিতে এর নিশ্চয় প্রভাব পড়বে। যাত্রা দক্ষিণ থেকে উত্তর ভারতে গিয়েছে। কিন্তু, এর প্রতিক্রিয়া সারা দেশে পড়েছে।
আরও পড়ুন: Protest Against BBC: ‘ভারতের ঐক্যের জন্য ক্ষতিকারক’, বিবিসি ব্যানে র দাবি হিন্দু সেনার
তবে এদিন সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে চাননি রাহুল গান্ধী। তার আগামী কর্মসূচী কী? তা ভবিষ্যতের জন্য কৌশলে তুলে রাখতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, বিজেপি, আরএসএস দেশে সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করছে। তারা আক্রমণ করছে, দখল করছে। সংসদ, বিধানসভা, বিচার ব্যবস্থা সর্বত্র এটা চলছে। জম্মু ও কাশ্মীরে যেটা হচ্ছে। সেটা সারা দেশে অন্যভাবে হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশে ভোটে জিতলাম অথচ সরকার ভ্যানিশ হয়ে গেল। কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। নোটবন্দি, জিএসটি, চীন সম্পর্কে কথা বলা যাবে না।
আগামী বছর লোকসভা ভোট। সেই প্রসঙ্গে এবার কী পদক্ষেপ? সেগুলি তিনি বলতে চাননি। এই যাত্রা সম্পন্ন করবার আগে গান্ধী পরিবারের বাইরে মল্লিকার্জুন খাড়্গে কংগ্রেস সভাপতি হননি। গাল ভর্তি দাড়ি নিয়ে রাহুল গান্ধীর দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গীতে বক্তব্য সামনে আসেনি। ৪০০০ কিলোমিটার হেঁটে তিনি ভারত ভ্রমণ করেননি। তিনি এদিন তারই মধ্যে বলেন, এই যাত্রা থেকে অনেক ধারণা এসেছে। ভারতজোড়়ো শুধু হাঁটা নয়। ভারত কীভাবে হাঁটবে তা। একটা নতুন পদ্ধতির রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীর কথাও উঠে আসে রাহুল গান্ধীর কথায়।