নয়াদিল্লি: আরও বিপাকে দিল্লির প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। এমনিতেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন। এবার মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে সরকারি গোয়েন্দা তথ্য দলের স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগে এফআইআর করল সিবিআই (CBI)। মোট সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন আইনের মধ্যে ‘স্নুপিং’ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে দিল্লির আপ সরকার তাদের অধীনে থাকা বিভিন্ন বিভাগ এবং স্বশাসিত সংস্থার তথ্য পাওয়ার জন্য ফিডব্যাক ইউনিট গঠন করে। সিবিআই দাবি করে, ফিডব্যাক ইউনিট থেকে পাওয়া তথ্য রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই বিভাগ তৈরি করে কোষাগারের ৩৬ লক্ষ টাকা নয়ছয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ। একইসঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য হাতানোর অভিযোগে সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে চাইছে সিবিআই। এমনটাই সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) বলেছেন সিসোদিয়াকে জেলে রাখার জন্য এসব করা হচ্ছে। এর পিছনে রাজনৈতিক হাত রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী টুইট করেছেন যাতে সিসোদিয়াকে আরও বেশি দিন জেলে রাখা যায়। সেজন্য মিথ্যা কেস দেওয়া হচ্ছে। সিবিআই ১৪ মার্চ এফআইআর (FIR) করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ছাড়পত্র দেওয়ার পরে তারা এফআইআর করেছে বলে জানা গিয়েছে। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ মার্চ সিবিআই ইন্সপেক্টর বিজয় এ দেশাই অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মণীশ সিসোদিয়া, প্রাক্তন ভিজিল্যান্স সেক্রেটারি সুকেশকুমার জৈন সহ বেশ কয়েক জনের নামে এফআইআর হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Spicejet Airlines | ককপিটে বসেই হোলি সেলিব্রেশন, বসানো হল ২ পাইলটকে
মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে দলের স্বার্থে গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নতুন করে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, দিল্লি সরকারের ফিডব্যাক ইউনিটের মাধ্যমে বিরোধী দল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতেন সিসোদিয়া-সহ মোট ৬ জন ব্যক্তি। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের হয়েছে। উল্লেখ্য, দিল্লির আবগারি দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সিসোদিয়া। পরে তাঁর বিরুদ্ধে ইডিও তদন্ত শুরু করে।
উল্লেখ্য, এই ফিডব্যাক ইউনিট কাজ শুরু করেছিল ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে।