দিল্লি : সমকামী বিয়ের(Same sex marriage) বিষয়টি মানুষের বিচার বুদ্ধির উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে এবার মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। তিনি বলেন, মানুষই বিচার (judge) করুক, এটি ভালো না খারাপ। এর থেকে দেশের মানুষের মনোভাবও পরিষ্কার জানা যাবে। শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে রিজিজু এই কথা বলেন। একটি বিচারাধীন বিষয় নিয়ে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কথা বলতে পারেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সমলিঙ্গে বিয়ের মামলায় রায় দিতে গিয়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, সমকামী সম্পর্ক অপরাধমুক্ত। সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গে বিয়ে নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে কেন্দ্র হলফনামা দিয়ে জানায়, ভারতের মতো দেশে সমকামী বিয়ে অপরাধ। সমলিঙ্গে বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রের আপত্তি আছে। ।২০২২ সালে সুপ্রিমকোর্ট (Supreme Court) এক মামলার শুনানিতে জানায়, ভারত (India) সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দেয় না। বিয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজন একজন নারী(Female) এবং একজন পুরুষ (Male)বংশ রক্ষার জন্যই তাদের দুজনের মিলনে সন্তানের জন্ম হয়। এই দাম্পত্য সম্পর্ক সনাতন ভারতের ঐতিহ্য।
আরও পড়ুন:Samajwadi Party | পশ্চিমবঙ্গে এখনই ভোট রাজনীতিতে নামবে না সমাজবাদী পার্টি, সিদ্ধান্ত বৈঠকে
কেন্দ্রীয় সরকার এ কথা বললেও সুপ্রিম কোর্ট দীপিকা সিং বনাম সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল মামলায় বলেছে, সমকামী দম্পতিরা সহবাস দম্পতি হিসাবে সামাজিক সুযোগ সুবিধাগুলি নিতে পারে।
সমকামী বিয়ে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত প্রসঙ্গে রিজিজু বলেন, দেশের শীর্ষ আদালতের আলাদা মত থাকতেই পারে। তবে বিষয়টি নিয়ে সংসদে বিতর্ক হওয়া প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, সমলিঙ্গের বিয়ের বিষয়টি দেশের মানুষের এপর ছেড়ে দিতে চাই। এতে দেশের মানুষের এই সংক্রান্ত বিষয়ে মনোভাব বোঝা যাবে। আগামী ১৮ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে সমকামী বিয়ে নিয়ে মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এর আগেও সমকামী বিয়ের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছিল কিরেন রিজিজুকে। তিনি বলেন, ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে প্রত্যেকের অধিকার রয়েছে নিজের ইচ্ছায় চলা। কিন্তু তাতে যেন দেশের আইনের অমর্যাদা না হয়। বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে মানুষের ভাবাবেগ জড়িয়ে আছে, তাতে আঘাত না করাই ভালো।
শেয়ার করুন