ইম্ফল: আগামী পাঁচ দিন গোটা মণিপুর (Manipur) জুড়ে ইন্টারনেট ও মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা (Internet and Mobile Internet এervices) বন্ধ থাকছে। বুধবার উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য (North-Eastern State) মণিপুরের বিষ্ণুপুর (Bishnupur) এবং চূড়াচাঁদপুরে (Churachandpur) নতুন করে হিংসার ঘটনা (Violence Incident) ঘটেছে একাধিক স্থানে। তার জেরে কর্তৃপক্ষ (Authorities) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও, রাজ্যে সংশ্লিষ্ট স্থানে কার্ফু (Curfew) জারি করা হয়েছে বলে খবর। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, চূড়াচাঁদপুর এবং বিষ্ণুপুর জেলায় ফৌজদারি কার্যবিধি কোড অর্থাৎ সিআরপিসি’র (Code of Criminal Procedure – CrPC) ১৪৪ ধারার অধীনে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি (Imposed Prohibitory Orders) করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিধি ও নিয়ম অনুসারে ১৪৪ ধারা জারি করা হলে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি দলবেধে রাস্তায় বেরতো পারবেন না। এছাড়া, বৈধ লাইসেন্স ছাড়া লাঠি, পাথর, আগ্নেয়াস্ত্র ইত্যাদি যদি কারও কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, তাহলে কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে আইন অনুযায়ী।
আরও পড়ুন: Manas Bhunia | আদিবাসী নাটক প্রতিযোগিতায় হল ফাঁকা, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তিন মন্ত্রী
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বিষ্ণুপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (Bishnupur District Magistrate) বলেছেন, “শান্তি ভঙ্গ (Breach of Peace), জনশান্তি বিঘ্নিত করা (Disturbance to Public Tranquility) এবং মানুষের জীবন ও সম্পত্তির জন্য মারাত্মক বিপদ (Grave Danger to Human Lives and Properties)” প্রতিরোধ (Prevent) করার জন্য এই পদক্ষেপ (Measures) প্রয়োগ করা হয়েছে৷
Manipur is burning! Indian media is silent. pic.twitter.com/ngHEcUWmSK
— Ashok Swain (@ashoswai) May 3, 2023
অন্যদিকে, চূড়াচাঁদপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (District Magistrate of Churachandpur) জানিয়েছেন, শান্তি ভঙ্গ, জনসাধারণের শান্তিতে ব্যাঘাত ঘটানো এবং মানুষের জীবন ও জনসাধারণের সম্পত্তির জন্য মারাত্মক বিপদের সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে, উপজাতীয়-অধ্যুষিত জেলায় (Tribal-Dominated District) সিআরপিসি’র ১৪৪ ধারার অধীনে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ (Prohibitory Order) জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন (N Biren Singh, Chief Minister of Manipur) সভাস্থলে আসার আগেই উন্মত জনতা হামলা (Attack) চালায় বলে অভিযোগ ছিল। জনজাতিদের বিক্ষোভের জেরে অশান্তি এতদূর গড়া যে বিক্ষুব্ধ জনতা সভাস্থল লন্ডভন্ড ও ভাঙচুরের (Destroyed and Vandalized) পর আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশের সঙ্গে রাতভর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছিল। তারপর থেকে রাজ্যের পরিস্তিতি অশান্ত রয়েছে। রাজ্যসরকারের সঙ্গে জনজাতিদের বিরোধের মূল কারণ হলো, সংরক্ষিত বনাঞ্চল (Reserve Forest Areas) থেকে কুকি গ্রামবাসীদের () উচ্ছেদের (Eviction of Kuki Villagers ) প্রসঙ্গ। চূড়াচাঁদপুর জেলার নিউ লামকা শহরে (New Lamka Town) বিক্ষোভ ও অগ্নিসংযোগের পর গোটা জেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।