বেঙ্গালুরু: শনিবার গভীর রাতে হুবলি পুলিস স্টেশনে হামলার ঘটনায় ৪০ জনকে গ্রেফতার করল পুলিস৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ষড়যন্ত্র ও খুনের চেষ্টা-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ গতকালের হামলায় জখম হন থানার ডজনখানেক পুলিসকর্মী৷ হুবলির পুলিস সুপার লভু রাম জানিয়েছেন, শনিবার রাতে বিরাট সংখ্যায় মানুষ থানার সামনে জড়ো হন৷ তাঁরা পুলিসের গাড়ি ভাঙচুর করেন৷ থানার ভিতর পাথর ছুড়ে মারেন৷ পাথরের আঘাতে জখম হন ১২ জন পুলিস কর্মী৷ পুলিস স্টেশনে হামলাকে ‘পরিকল্পিত’ বলে তোপ দেগেছেন রাজ্যের পুলিসমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র৷ আইন হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনায় পুলিস মোট ৪০ জনকে গ্রেফতার করেছে৷
এ দিকে পুলিস স্টেশনে হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন কর্নাটকের মন্ত্রী সি এম অশ্বত্থনারায়নান৷ দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন৷ মন্ত্রী বলেন, ‘থানায় হামলার ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না৷ আমরা এই ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা করছি৷’ থানায় হামলার ঘটনায় পুলিস মোট ৬টি কেস দায়ের করেছে৷ পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি পুলিস সুপারের৷
জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করাকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত৷ অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার মতো পোস্ট শেয়ার করেন এক যুবক৷ তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানায় ওই সম্প্রদায়ের মানুষ৷ পুলিস ওই যুবককে গ্রেফতার করে৷ কিন্তু পুলিসের পদক্ষেপে অখুশি ওই সম্প্রদায়ের মানুষ ওল্ড হুবলি থানার সামনে জড়ো হন৷ শুরু হয় তাণ্ডব৷ উত্তেজিত জনতা সরাতে লাঠিচার্জ করে পুলিস৷ ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস৷ হামলার নিন্দা করেছেন রাজ্যের পুলিসমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র৷ সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন এক পুলিস অফিসার৷ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে৷ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ মনে হচ্ছে পরিকল্পনা করেই থানায় হামলা করা হয়েছে৷