নয়াদিল্লি: পারলে আমাকে আটকান বলে ফের চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাতে দিল্লি পৌঁছেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বলেন, দিল্লির মাটিতে দাঁড়িয়ে বলে গেলাম, পারলে আমাকে আটকান। তবে আমি তদন্তকারী সংস্থাকে কিছু বলিনি। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমার মুখ দিয়ে আপনাদের কথা বসাবেন না। আমার যা বলার ছিল, আমি তা বলেছি।
দিল্লি পৌঁছেই তিনি দলের মন্ত্রী, সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক হয় সাংসদ সৌগত রায়ের বাংলোতে। সেখানে খাওয়াদাওয়ার এলাহি ব্যবস্থা ছিল। লনে বিশাল ম্যারাপ বাঁধা হয়েছে। বাসে যাওয়া তৃণমূল কর্মীদের বিভিন্ন ধর্মশালায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিধায়ক, মন্ত্রীরা অনেকে সাংসদদের বাংলোতে থাকছেন। অনেকে বঙ্গভবনেও উঠেছেন।
আরও পড়ুন: তেলঙ্গানা বদল চায়, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নয়: মোদি
রাতের বৈঠকে কাল এবং পরশু কী হবে, তা নিয়ে কথা হয়। অভিষেক সেখানে বলেন, ন্যায্য পাওনার দাবিতে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। পুজোর পরেই ফের আন্দোলনে নামতে হবে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে কর্মসূচি এবং কৌশল নিয়ে কথা হয়েছে। আগামিকাল বেলা একটার সময় রাজঘাটে দলের নেতারা ধরনা দেবেন। পরের দিন যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ হওয়ার কথা। মিছিলও হতে পারে। রাজঘাটে এবং যন্তর মন্তরে রবিবার রাত থেকেই দিল্লি পুলিশ কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। তৃণমূলের আশঙ্কা, পুলিশ তাদের প্ররোচিত করতে পারে।
এদিনই সন্ধ্যায় তৃণমূল তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে অভিযোগ করে, দিল্লির কাছে একটি অজ্ঞাতপরিচয় গাড়ি তাদের বাস আটকায়। সেই গাড়িতে এক পুলিশ অফিসার ছিলেন।তা নিয়ে সামান্য উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তৃণমূল লিখেছে, এর মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। এটাই বিজেপির সংস্কৃতি।
এদিকে, দলের ছাত্র, যুব নেতারা একশো দিনের কাজের টাকা থেকে বঞ্চিতদের সোমবার নতুন সংসদ ভবন দেখাতে নিয়ে যাবেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। তাঁরা বঞ্চিতদের বলবেন, এই দেখ, তোমাদের টাকায় এই নতুন ভবন করেছে মোদি সরকার পুরনো সংসদ থাকা সত্ত্বেও। অন্যদিকে, রাজঘাট এবং যন্তর মন্তরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ।