Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeScrollতেলঙ্গানা বদল চায়, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নয়: মোদি

তেলঙ্গানা বদল চায়, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নয়: মোদি

Follow Us :

হায়দরাবাদ: তেলঙ্গানায় (Telangana) সরকারি অনুষ্ঠানকে ভোট প্রচারের মঞ্চ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। রবিবার তিনি বলেন, তেলঙ্গানা এখন পরিবর্তন চাইছে। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর কাজে লাগছে না। এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ মোদি মাহবুবনগরে এসে পৌঁছান। সেখানে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। আগামী ৩ অক্টোবর ফের রাজ্যের নিজামাবাদেও একটি জনসভা করবেন। সেদিনও বেশ কয়েকটি প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিনের অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার একটি আদিবাসী বিশ্ববিদ্যালয় (Tribal University) গড়ে তুলবে। তেলঙ্গানার মুলুগু জেলায় আদিবাসী দেবী সাম্মাক্কা-সারাক্কার নামে ওই বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ হবে। বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে দেশে রান্নার গ্যাসের (LPG) সংযোগ ছিল ১৪ কোটি। আর এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩২ কোটি। আমরা রান্নার গ্যাসের দাম কমিয়েছি। কেন্দ্র জাতীয় হরিদ্রা পর্ষদ (National Turmeric Board) গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়ে মোদি বলেন, হলুদ চাষিরা এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন। তাঁদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে এগিয়ে কংগ্রেস, কী বলছে জনমত?

তেলঙ্গানা-নাগপুর-বিজয়ওয়াড়া করিডরের মাধ্যমে অন্ধ্র ও মহারাষ্ট্রের সঙ্গে এই রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম হবে। এই রাস্তার ফলে বাণিজ্য, পর্যটন এবং শিল্পের উন্নতি হবে।

উল্লেখ্য, এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তেলঙ্গানা সফর ‘বয়কট’ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেসি চন্দ্রশেখর রাও (KCR)। ভারত রাষ্ট্র সমিতির (BRS) একচ্ছত্র নেতা কেসিআর আজ, রবিবার মোদির অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন না। উল্লেখ্য, ভোটমুখী তেলঙ্গানায় এদিনই ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। এরপর মাহবুবনগরে এক জনসভায় ভাষণ দেন। তার আগে একটি রোড শো করেন মোদি।

জাতীয় রাজনৈতিক মঞ্চ এখন দুভাগে আড়াআড়ি ভেঙে গিয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে একদিকে এনডিএ, অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোট সম্মুখ সমরে নেমেছে। এই যুদ্ধে যারা নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে একলা চলার নীতি নিয়েছে, তাদের একজন কেসিআর। যদিও কংগ্রেস সহ বিরোধীরা তাঁর দল বিআরএসকে বিজেপির বি-টিম বলে গাল পাড়ে। কিন্তু, আঞ্চলিক রাজনীতিতে আদ্যন্ত কংগ্রেস বিরোধী কেসিআরের কোনওমতেই ‘হাত’ ধরা সম্ভব নয়। আবার বিজেপির দিকে ঘেঁষাও অসম্ভব। সে কারণে দীর্ঘদিন ধরেই মোদিকে এড়িয়ে চলেন কেসিআর।

ফলে এদিনও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। এদিন মোদিকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে রাজ্য সরকারের তরফে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী তালাসানি শ্রীনিবাস যাদব। সরকারি কর্মসূচিতেও তিনিই হন রাজ্যের প্রতিনিধি। এ নিয়ে ২০২২ সাল থেকে পরপর ৬বার মোদির অনুষ্ঠানের গরহাজির থাকলেন কেসিআর। এদিন মোদির কর্মসূচিতে ছিল সড়ক, রেল, পেট্রল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস। একটি ট্রেন পরিষেবারও ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

তেলঙ্গানায় এখনও বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষিত না হলেও এই রাজ্য দখলে মুখিয়ে রয়েছে বিজেপি এবং কংগ্রেস। কারণ দক্ষিণের এই রাজ্য কবজা করতে পারলে পরের বছর লোকসভা ভোটে একধাপ এগিয়ে থাকবে তারা। এমনিতেই তেলঙ্গানায় পরিবারবাদ এবং দুর্নীতি নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী এবং মোদি। সুতরাং, এদিনের জনসভায় কেসিআর এবং কংগ্রেসকে যে শূলে চড়ান মোদি। এককথায় এই ভাষণ থেকেই রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ডঙ্কা বাজিয়ে দেন তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদি। কারণ গতকালই এক এক্স বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, তেলঙ্গানার মানুষ অকেজো প্রশাসনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ। একইভাবে কংগ্রেসের প্রতিও আস্থা হারিয়েছে। বিআরএস এবং কংগ্রেসের মতো পরিবারতান্ত্রিক দলের মানুষের কাজ করা অভীষ্ট নয়।

RELATED ARTICLES

Most Popular