কলকাতা: স্বর্গ নাকি নরক! সত্যিই কি মৃত্যুর পর আত্মাদের ঠাঁই দেওয়ার জন্য আলাদা কোনও জগত রয়েছে? সত্যিই কি পাপ করলে নরকে ঠাঁই হয়? আর পুণ্যে করলে স্বর্গ? সব ধর্মেই এমন দর্শন রয়েছে। যার উপর দাঁড়িয়েই পাপ-পুণ্যের হিসাব। কিন্তু, বাস্তব জীবনে স্বর্গ বা নরক কেউই দেখেননি। তবে জানেন কী, পৃথিবীতেই আছে নরকের দরজা। যেখানে কেউ গেলে আর জীবিত ফিরে আসে না। ভাবছেন তো এও কী করে সম্ভব! চলুন জেনে নেওয়া যাক-
এই রহস্যময় দরজাটি রয়েছে তুরস্কে (Gate to Hell inTurkish)। যা শত শত বছর আগে নির্মিত হয়েছিল বলে জানা যায়। একেই বলা হয় ‘নরকের দরজা’। এই দরজারকে ঘিরে তৈরি হওয়া বহু রহস্যের আজও কোনও সমাধান মেলেনি। এই দরজার সামনে যাওয়াতে মৃত্যু হয়েছে অনেক মানুষের। এমনকী বহু পশু-পাখিরও রহস্যময় মৃত্যু হয়েছে এই অঞ্চলে। বহু রহস্যজনক মৃত্যুর কারণে এই মন্দিরের কাছে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন: নিজের সন্তানকেই খেয়ে ফেলে এই সমস্ত পশু
জানা যায়, এই মন্দিরটি খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতাব্দীতে তৈরি হয়েছিল এবং এটি অ্যাটালিড রাজারা তৈরি করেছিলেন। ১৩৩ খ্রিস্টাব্দে রোমান রাজারা মন্দিরটি দখল করেন। এই মন্দিরেরই একটি দরজাকে বলা হয় ‘নরকের দরজা’। বহু মানুষ বিশ্বাস করেন, যে এই মন্দিরের ভিতরে গ্রীক দেবতারা বাস করেন। এবং দেবতাদের নিঃশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসা বিষাক্ত গ্যাসের কারণেই মন্দিরের কাছে গেলেই মানুষের মৃত্যু হয়।অন্যদিকে, এই স্থানে অবস্থিত অনেক ঝর্ণার জলে জাদুকরী ক্ষমতা আছে বলে দাবি করা হয়। এই ঝর্ণার জলে স্নান করলে রোগ মুক্ত হওয়া যায় বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
‘নরকের দরজা সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, হেডিসের দেবতার জন্য নির্মিত এই মন্দিরের নিচ থেকে প্রচুর পরিমান বিষাক্ত গ্যাস, কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়, যার ফলে এই অঞ্চলে গেলেই মানুষের মৃত্যু হয়। এই অঞ্চলের বহু পশু-পাখি শ্বাসরোধ করে মারা যাওয়ার পরেই এই অঞ্চলটি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। গবেষণা থেকে জানা যায়, এই মন্দিরের নিচে ৯১% কার্বন-ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি রয়েছে। আর মাত্র ১০% কার্বন ডাই অক্সাইড একজন মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। আর তাই এই এলাকায় মানুষ হোক বা পশু-পাখি এমনকি কীটপতঙ্গও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পায় না।
দেখুন আরও অন্য খবর: