নয়াদিল্লি: সমাজ কর্মী হর্ষ মান্দারের সঙ্গে যুক্ত তিন জায়গায় অভিযান চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। এই ঘটনার বিরোধিতা করে আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, সিনেমা পরিচালক, সাংবাদিক-সহ ৬০০ বিশিষ্টরা হর্ষ মান্দারের পাশে দাঁড়াল।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, “এই ভয়ঙ্কর কৌশল অবলম্বনকারীদের প্রকৃত রূপ ভারতীয় সংবিধান ও আইন উন্মোচন করবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানকে অপব্যবহার করে আমাদের সমস্ত অধিকারকে খর্ব করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
ইতিহাসবিদ রাজমোহন গান্ধি, অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ এবং ইন্দিরা জয়সিং, সমাজকর্মী মেধা পাটেকর এবং অর্থনীতিবিদ জিন ড্রেজ সহ যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা বলেন, বিগত কয়েক বছরে হর্ষ মান্দার এবং সেন্টার ফর ইক্যুইটি স্টাডিজ একাধিক সরকারি সংস্থা দ্বারা হয়রানির শিকার।”
বিবৃতিতে আরওবলা হয়, এই সমস্ত প্রতিশোধমূলক প্রচেষ্টা একত্রিত ভাবে, আর্থিক তছরুপ বা আইনের কোন লঙ্ঘন দেখাতে পারেনি। ইডি এবং আইটি বিভাগের সাম্প্রতিক অভিযান গুলি খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে যে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের অপব্যবহার ধারাবাহিক ভাবে কেন্দ্রের বর্তমান সরকারের সমালোচকদের পরোক্ষভাবে হুমকি দিয়ে চুপ করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- সোনু সুদের বাড়িতে ইডি’র হানা কেন্দ্রের ‘তালিবানি’ আচরন, কটাক্ষ শিবসেনার
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে আর্থিক তছরুপ তদন্তের সঙ্গে এই অভিযানগুলি যুক্ত।
রবার্ট বশ একাডেমিতে ছয় মাসের ফেলোশিপ নিয়ে হর্ষ মান্দার ও তাঁর স্ত্রী জার্মানি চলে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর হর্ষ মান্দারের বাড়ি বসন্ত কুঞ্জ, অফিস ও তাঁর দ্বারা পরিচালিত দুটি শিশু হোম অভিযান চালানো হয়। ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস -এর নির্দেশে দায়ের করা দিল্লি পুলিশের এফআইআর -এ অভিযোগ করা হয়েছে, উমেদ আমান ঘর (ছেলেদের জন্য) এবং খুশি রেইনবো হোম (মেয়েদের জন্য) – দুটো শিশু হোমে আর্থিক অনিয়ম রয়েছে।