শ্রীনগর: জম্মু-কাশ্মীরের গুরেজ সেক্টরে শুক্রবার ভারতীয় সেনার হেলিকপ্টার ভেঙে মৃত্যু হল পাইলটের। ঘটনাস্থল থেকে সহকারী পাইলটকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কী কারণে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কারণ বলে সেনার একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
সেনার ওই সূত্র জানাচ্ছে, হেলিকপ্টার নামার সময় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিপত্তি ঘটে। গুরেজ সেক্টরের বারায়ুমে যেখানে এই হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে, সেটি উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলায়। গুজরন নল্লাহর কাছে। উদ্ধারকারী দল ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পাইলটকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হতাহতের বিশদ এখনও জানা যায়নি।
সেনা সূত্রে খবর, গুরেজ সেক্টরের বারাউম এলাকায় এ দিন চিতা হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে। ২০১৫ সালে সেনা সদর দফতর থেকে জানানো হয়েছিল, চিতা হেলিকপ্টারগুলি কার্যত ‘মৃত্যুফাঁদে’ পরিণত হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২০০টি চিতা হেলিকপ্টারের একটি বহর রয়েছে। গত কয়েক বছরে, ৩০টিরও বেশি চপার দুর্ঘটনা ঘটে। এর পাশাপাশি ৪০ জনেরও বেশি সেনা আধিকারিক মারা গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Bipin Rawat: চপার দুর্ঘটনায় মৃত্যু বিপিন রাওয়াতের
যে কোনও আপৎকালীন বা যুদ্ধ পরিস্থিতি কিংবা বিপর্যয় মোকাবিলায় ভারতীয় সেনা চেতক এবং চিতা হেলিকপ্টারের সাহায্য নেয়। ১৯৬০-এর দশক থেকে এই দুই হেলিকপ্টার ভারতীয় সেনার অন্তর্ভুক্ত। সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতি এবং প্রযুক্তি বদলেছে। ফলে চেতক এবং চিতা বাতিলের খাতায় চলে যায়। বিশেষত, লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এই দুই ‘ভিনটেজ’ কপ্টার আদৌ যুঝে উঠতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেন সেনাকর্তারা।