সিমলা: দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছিল অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের রাজনীতিতে প্রবেশ নিয়ে। সোমবার সেই সমস্ত জল্পনাতে জল ঢেলে দিলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর। আগামী ৩০ অক্টোবর উপ-নির্বাচন রয়েছে হিমাচল প্রদেশের মান্ডিতে। সেখানে কোন তারকাকে নয় বরং দলের কর্মীদের কেই টিকিট দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
হিমাচল প্রদেশের ছোট্ট পাহাড়ঘেরা শহরেই বড় হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা। বিগত কয়েক বছর ধরেই রাজনৈতিক কিংবা অরাজনৈতিক নানান বিষয়ে মন্তব্য করে আসছিলেন এই সুপারস্টার অভিনেত্রী। নিজের সোশ্যাল সাইটে একাধিক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তার ঠোঁট কাটা মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি নেটিজেনরা। যার প্রভাব পড়েছিল রাজনীতিতেও। গত বছর মুম্বইতে অবস্থিত তার বাড়ি ও অফিস গুঁড়িয়ে দেয় শিব সেনা নিয়ন্ত্রিত বৃহ মুম্বাই কর্পোরেশন। যার জেরে বেকায়দায় পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রীকে।
আরও পড়ুন: বরুণের টুইটার থেকে ‘বিজেপি’ বাদ, তবে কী ভাই রাহুলের ‘হাত’ ধরে ‘ঘর ওয়াপসি’র ইঙ্গিত?….

তারপরই রাজনৈতিক সমীকরণ মেনেই তার পাশে দাঁড়ায় গেরুয়া শিবির। তাঁর জন্য ‘ওয়াই’ ক্যাটাগরি নিরাপত্তা বলয় দেওয়া হয় হিমাচল প্রদেশ সরকারের তরফে। বিজেপির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় কানাঘুষো। হিমাচলে বিজেপি মহিলা মোর্চা ‘হিমাচল কি বেটি’ আখ্যায়িত করে। তার সম্পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ঠাকুর। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের ওয়ান ডিস্ট্রিক্ট ওয়ান প্রডাক্ট প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন কঙ্গনা। গত শুক্রবার যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে লখনউতে তাঁর বৈঠক কিরে শুরু হয় জল্পনা।
এই সবের মধ্যেই আরও বেশ কিছু ছবি করে ফেলেন অভিনেত্রী। যেগুলো হিট না হলেও দর্শকদের নিরাশ করেনি। সম্প্রতি জয়ললিতা চরিত্রে তাঁর অভিনীত থালাইভি ছবিটি মন কেড়েছে দর্শকদের।
এদিকে, মান্ডি আসনটিতে বিজেপি এখনও পর্যন্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। করলেও কংগ্রেস ইতিমধ্যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং এর স্ত্রী প্রতিভা সিংকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে। হিমাচলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আবেগে ভর করেই ভোট বৈতরণী পার হতে চায় রাহুল সোনিয়ারা।
আরও পড়ুন: আকাশে নয়, দিল্লির রাস্তায় চলতে গিয়ে থমকে দাঁড়াল এয়ার ইন্ডিয়া…
তবে মান্ডিতে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে জোর আলোচনা চালাচ্ছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর গোটা বিষয়টির ওপর নজর রাখছেন।
তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সুশান্ত সিং এর মৃত্যু থেকে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কঙ্গনার ‘ঝাঁসির রানী’ আচরণ মোটেই ভাল লাগেনি বিজেপির। নৈতিক সমর্থন জানালেও এখনই বলিউডের ‘কুইন’কে ভোটের ময়দানে নামাতে রাজি নন গারোয়ালের বিজেপি নেতৃত্ব।