নয়াদিল্লি: শেয়ার বাজারের ধস নিয়ে বিজেপিকে নিশানা কংগ্রেসের। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের সদর দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ৪ জুন শেয়ার বাজার রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সেই দাবির উল্টো ঘটনা ঘটে শেয়ার বাজারে। ৩ জুন শেয়ারবাজার রেকর্ড করলেও ৪ জুন ফলাফলের দিন বড়সড় ধস নামে শেয়ারবাজারে। এর ফলে ৩০ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন রাহুল।
এদিন তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, ৪ জুন শেয়ারবাজার রেকর্ড করবে। কিন্তু তা হয়নি। তাঁদের এই দাবির জন্য পাঁচ কোটি রিটেল ইনভেস্টারের ক্ষতি হয়েছে। প্রায় এক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছিল শেয়ার বাজারে। ৩০ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি ভারতের শেয়ার বাজারের ইতিহাসে সবথেকে বড় দুর্নীতি। একইসঙ্গে রাহুলের দাবি, যে সংবাদমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেয়ার বাজারের প্রসঙ্গ তোলেন, তা আদানি গোষ্ঠীর। এই শেয়ার দুর্নীতি আদানি কেলেঙ্কারির থেকেও বড়। তাই আমরা যৌথ সংসদীয় তদন্ত কমিটির দাবি করছি। পাশাপাশি বুথ ফেরত সমীক্ষা নিয়েও সরব হন রাহুল। তিনি বলেন, ওই সমীক্ষা সম্পূর্ণ ভুল ছিল। বিজেপির পরামর্শেই এই সমীক্ষা করা হয়েছিল। ওই সমীক্ষা নিয়েও আমরা তদন্তের দাবি করছি।
আরও পড়ুন: বিজেপিকে ভোট একাংশের, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে
আগামী রবিবার নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর জন্য শপথ নিতে চলেছেন। বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গড়তে এবং চালাতে তাদের এনডিএ শরিকদের উপর ভরসা করতে হবে। ইতিমধ্যে প্রধান দুই শরিক জেডিইউ এবং টিডিপি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দাবি করে বসে আছেন। শপথগ্রহণের আগেই মোদি এসব নিয়ে বেশ চাপে আছেন। এরই শেয়ার দুর্নীতি নিয়ে কংগ্রেস সরব হওয়ায় মোদির চাপ আরও বাড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এবার বিরোধীরা সংসদে বেশ ভালো সংখ্যা নিয়ে আসছে। গত দুই দফার মতো এবার মোদি সরকার আর বিরোধীদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে পারবে না।