কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বৈবাহিক ধর্ষণ মামলায় দুই বিচারপতির দুই মত। একজন মনে করেন এটা অপরাধ। অন্যজনের মত উলটো।
দিল্লি হাইকোর্টে বৈবাহিক ধর্ষণ সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি শকধের এবং বিচারপতি সি হরিশঙ্করকে নিয়ে গঠিত দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার বিপরীতমুখী রায়দান করে। বেঞ্চ বিষয়টির নিষ্পত্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সুপারিশ করেছে।
স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আপত্তিতে স্বামী সঙ্গম করতে পারেন কি না এটা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিতর্ক চলছে সমাজতাত্ত্বিকদের মধ্যে। বিচারপতি হরিশঙ্কর মনে করেন, এতে সংবিধান লঙ্ঘিত হয় না। স্ত্রী যদি না নাবালিকা হন তাহলে তাঁর স্বামীর যৌনকার্য আইনবিরুদ্ধ নয়। দুই বিচারপতির ভিন্ন মতের দরুন ডিভিশন বেঞ্চ বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়ার সুপারিশ করেছেন।
আবেদনকারী ৩৭৫ ধারায় উল্লিখিত আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। যেখানে বিবাহিত রমণীকে তাঁর স্বামী যৌন নিগ্রহ করলেও ছাড় পাওয়ার সুযোগ ছিল। এই ছাড়ের বিরুদ্ধেই আর্জি জানানো হয়েছিল হাইকোর্টে। বিচারপতি শকধের বলেছেন, যদি কোনও মেয়ে-বন্ধু বা সহবাসকারী সঙ্গিনী যৌনকর্মে আপত্তি জানান, সেক্ষেত্রে পুরুষসঙ্গী বলপ্রয়োগ করলে তা অপরাধ। সম্পর্ক কিংবা সম্মতি কখনও একজনের উপর নির্ভর করতে পারে না। একজন মহিলার মতামতও গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন- Sedition Law: কেন্দ্রকে সুপ্রিম ধাক্কা, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন আপাতত ঠান্ডাঘরেই