নয়াদিল্লি: কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহার করা হয়েছিল আগেই। এ বার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সহ আন্দোলনকারীদের বাকি দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার কথা জানিয়ে দিল কেন্দ্র। সরকারের তরফে কৃষকদের (Farmers Protest) চিঠি দিয়ে সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গুরু নানক জয়ন্তীর দিন আন্দোলনকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তার পরেও আন্দোলন প্রত্যাহার করেননি কৃষকরা। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, বাকি দাবিগুলি কেন্দ্র না মানলে আন্দোলন (Farmers Protest) প্রত্যাহার করা হবে না।
ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সহ বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে নিয়ে নতুন করে কোমর বেঁধে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কৃষকরা৷ তবে সপ্তাহখানেক আগে কৃষকদের চাপের কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয় মোদি সরকার। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) এবং অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি হয় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকার সংযুক্ত কিষাণ মোর্চাকে আলোচনার প্রস্তাব দেয়। সেই সঙ্গে কৃষক সংগঠনের কাছে পাঁচজন নেতার নাম চাওয়া হয়। কৃষকদের প্যানেল সরকারের সঙ্গে তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে বৈঠক করে।
এর পর সরকারের তরফে কৃষক সংগঠনগুলিকে চিঠি দিয়ে আন্দোলনকারীদের যাবতীয় দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলা হয়। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে আলোচনার জন্য সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার সদস্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে। আন্দোলন চলাকালীন কৃষকদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মামলা হয়েছে, সে গুলি তুলে নেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণের বিষয় নিয়ে উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানা সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। এর পরই আন্দোলন তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন কৃষকরা। দ্রুত আন্দোলনস্থল ফাঁকা করার কথাও জানান কৃষক নেতারা।
আরও পড়ুন: Samyukta Kisan Morcha: যোগাযোগই করেনি সরকার, মঙ্গলবার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা
Protesting farmers will vacate the protest sites on December 11: Farmer leader Darshan Pal Singh pic.twitter.com/Ftg76o7Rd1
— ANI (@ANI) December 9, 2021
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা সূত্রে খবর, ১১ তারিখ আন্দোলনকারীরা একত্রিত হবেন। ওই দিনই বিজয় মিছিল করে বাড়ির পথে রওনা দেবেন আন্দোলনকারীরা। ১৩ ডিসেম্বর তাঁরা অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে যাবেন। কৃষক নেতা দর্শন পাল সিং বলেন, ‘১১ ডিসেম্বর আন্দোলনস্থল ফাঁকা করে দেওয়া হবে।’ কৃষক নেতা গুরনাম সিং চারুনি বলেন, ‘আমরা আমাদের আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১৫ জানুয়ারি একটি পর্যালোচনা সভা করা হবে৷ যদি সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে, আমরা আমাদের আন্দোলন আবার শুরু করতে পারি।’