নয়াদিল্লি: সাজাপ্রাপ্ত কি করে রাজনীতিতে ফেরেন? এমন সংসদ সদস্য বা বিধায়কদের ক্ষেত্রে কেন সারা জীবনের জন্য নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে না? এই প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) ও নির্বাচন কমিশনের (ECI) বক্তব্য তলব করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
সাজাপ্রাপ্তের ভোটে দাঁড়ানোর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের হয়েছিল। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের দুটি ধারার সংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হওয়া মামলায় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি মনমোহনের অভিমত, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। বিশেষত রাজনীতিতে অপরাধপ্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে।
আইনসভায় অপরাধীর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আজীবন নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের দাবিতে মামলা করেন আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী অপরাধী প্রমাণিত হয়ে সাজা খাটার পর ছয় বছর পর্যন্ত ভোটের দাঁড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মামলায় এই ধারাটির বৈধতাকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেজরিওয়ালের হারের আসল কারণ বলে দিলেন প্রশান্ত কিশোর
এই মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে আদালত বহুবার নানা রকম নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও সংসদ সদস্য ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে প্রায় পাঁচ হাজার ফৌজদারি মামলা এখনও সারাদেশে বিচারাধীন বলে জানিয়েছে আদালত বান্ধব। শুনানিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন দ্রুততার সঙ্গে সব জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বকেয়া ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি করা হবে না? কেন ৬ বছরের পরিবর্তে সারা জীবনের জন্য এমন অপরাধীদের ভোটে দাঁড়ানো বন্ধ করা হবে না? সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কীভাবে রাজনৈতিক দল গঠন করেন অথবা রাজনৈতিক দলের পদাধিকারী হন?
প্রসঙ্গত, জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে এমন মামলার দ্রুত শুনানির স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ১০টি রাজ্যে ১২টি বিশেষ আদালত স্থাপিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির বিশেষ পরিবর্তন হয়নি বলে অভিযোগ।
দেখুন অন্য খবর: