ওয়েব ডেস্ক: দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Assembly Election 2025) আম আদমি পার্টির (AAP) ভরাডুবির পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ। ২০১৫ এবং ২০২০ সালে টানা দুই বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় পাওয়ার পর এবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দল মাত্র ২২টি আসনে সীমাবদ্ধ। আপের এই ঐতিহাসিক হার নিয়ে মন্তব্য করেছেন ভারতের অন্যতম নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। এক সময় কেজরিওয়ালের জন্য ভোটকৌশল সাজানো এই বিশেষজ্ঞের মতে, আপের পরাজয়ের মূল কারণ হল কেজরিওয়ালের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়া।
এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর স্পষ্টভাবে বলেন, কেজরিওয়ালের রাজনৈতিক অবস্থান দিল্লির জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। তাঁর মতে, কেজরিওয়ালের প্রথম ভুল ছিল বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’তে যোগ দেওয়া এবং পরে কংগ্রেসের সঙ্গে দিল্লির নির্বাচনে জোট না করে এককভাবে লড়ার সিদ্ধান্ত। এতে ভোটারদের মধ্যে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পিকের ভাষায়, “এটি জনগণের মনে বিভ্রান্তি এবং অবিশ্বাস তৈরি করেছিল, যা আপের পরাজয়ের অন্যতম কারণ।”
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীকে সামনে না এনেও কীভাবে দিল্লি জয় করল বিজেপি?
এছাড়াও প্রশান্ত কিশোর মনে করেন, দিল্লিতে ১০ বছরের শাসনের ফলে প্রতিষ্ঠান-বিরোধী মনোভাব তৈরি হয়েছিল। কেজরিওয়াল সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি বলে মনে করেন তিনি। বিশেষ করে, রাজধানীর ঝুপড়ি সমস্যা, বর্ষার সময় নিচু এলাকায় জল জমে যাওয়ার মতো প্রশাসনিক ব্যর্থতাগুলি ভোটারদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে মত প্রকাশ করেন পিকে।
পাশাপাশি, কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের পরও মুখ্যমন্ত্রীর পদ না ছাড়ার সিদ্ধান্ত একটি বড় কৌশলগত ভুল ছিল বলে মনে করেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর মতে, “আবগারি মামলায় গ্রেফতারির পর কেজরীওয়ালের উচিত ছিল সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করা। জামিনের পর পদত্যাগ করে ভোটের আগে অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে রাজনৈতিকভাবে ভালো বার্তা যেত।” এই ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিজেপি সহজেই কেজরিওয়ালকে দুর্নীতির ইস্যুতে আক্রমণ করতে পেরেছে।
দেখুন আরও খবর: