Thursday, July 3, 2025
Homeদেশপৃথিবীর মায়া কাটিয়ে সূর্যের দিকে পাড়ি দিল আদিত্য এল ১

পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে সূর্যের দিকে পাড়ি দিল আদিত্য এল ১

প্রায় ১১০ দিন পর তাকে এল ১ পয়েন্টের কক্ষপথে বসানো হবে

Follow Us :

কলকাতা: পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে সফলভাবে সূর্যের পথে পাড়ি দিল ইসরোর (ISRO) সৌর মিশন আদিত্য এল ১ (Aditya L1)। পৃথিবীর অভিকর্ষজ বলের মায়া কাটিয়ে ট্রান্স ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান পয়েন্ট ১ ইনসারশন হল তার। এবার সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট ১-এর (Lagrange Point 1) উদ্দেশে রওনা দিয়েছে আদিত্য। অন্য কোনও মহাজাগতিক বস্তু (যেমন চাঁদ) কিংবা মহাকাশের কোনও স্থানে যান পাঠানোর কাজে এই নিয়ে টানা পাঁচবার সফল হল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

ইসরোর তরফে সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ (যার নাম আগে ছিল টুইটার) পোস্ট করে বলা হল, “আদিত্য এল ১: সূর্য-পৃথিবী এল ১ পয়েন্টের পথে পাড়ি দিল। ট্রান্স ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান পয়েন্ট ১ ইনসারশন কৌশল প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ১১০ দিন পর তাকে এল ১ পয়েন্টের কক্ষপথে বসানো হবে।”

আরও পড়ুন: পৃথিবীর বাইরেও রয়েছে ‘মদের ভাণ্ডার’, চেঁকে দেখবেন সেই সুরা?

এল ১ বা ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট ১ হল এমন এক অবস্থান যেখান থেকে সূর্যকে নিরন্তর পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা করা যায়। আদিত্য এল ১ মিশনের উদ্দেশ্য মহাকাশীয় আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা করা। এছাড়াও সূর্যের ফোটোস্ফিয়ার, ক্রোমোস্ফিয়ার এবং করোনা (সৌর বায়ুমণ্ডলের সবথেকে বাইরের দিক) নিয়ে গবেষণা করবে। সূর্যের কেন্দ্রস্থলের থেকে করোনার তাপমাত্রা কেন বেশি সেই রহস্যের সমাধান করার চেষ্টা করবে আদিত্য এল ১।

প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে আদিত্য এল ১-কে (Aditya L1) নিয়ে সূর্যের পথে পাড়ি দিয়েছিল পিএসএলভি-সি৫৭ (PSLV-c57) রকেট। কিছুক্ষণ পরে রকেটের দেহ থেকে বেরিয়ে আসে আদিত্য এল ১। এবার ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট ১-এর দিকে রওনা দিয়েছে সে।

ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট হল এমন জায়গা যেখানে সূর্য এবং পৃথিবীর মতো দুটি মহাজাগতিক বস্তুর অভিকর্ষজ বলের লড়াইয়ে ভারসাম্য থাকে। এই জায়গাগুলোতে কোনও জ্বালানি ছাড়াই মহাকাশযান এক জায়গায় স্থির থাকতে পারে। তাকে সূর্য নিজের দিকে আকর্ষণ করতে পারে না আবার পৃথিবীও নিজের দিকে টেনে নিতে পারে না। পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝে এল ১ (L1) থেকে এল ৫ (L5), মোট পাঁচটি এমন স্পট আছে। পৃথিবীর সবথেকে কাছে এল ১ এবং এল ২, এই দুই জায়গা পর্যবেক্ষণের জন্য ভালো। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবথেকে শক্তিশালী টেলিস্কোপ নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এল ২ পয়েন্টে রয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular


Deprecated: Automatic conversion of false to array is deprecated in /var/www/ktv/wp-content/themes/techinfer-child/functions.php on line 39