নদিয়া: বিজেপি (BJP) পঞ্চায়েত সদস্য বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত পঞ্চায়েত সদস্যের মা ও তাঁর ভাগ্নে। তাঁদের স্থানীয় শান্তিপুর হাসপাতালে (Shantipur Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে শান্তিপুর থানার বেলঘড়িয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের গবারচরে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের বাড়িতে বোমাবাজি করা হয়। সেই বোমার আঘাতে আহত হন দু’জন। অভিযোগের তির শাসকদলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার ভোরে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য গৌরাঙ্গ তাঁর পরিবারের সঙ্গে ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকাই তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। এই গটনার সময় পরিবারের বাকি সদস্যরাও ঘুমোচ্ছিলেন। একটি বোমা ঘরের ভিতরে বিছানার উপর গিয়ে পড়ে। আহত হয় এক নাবালক-সহ তিন জন। আতঙ্কিত গৌরাঙ্গের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, ব্যক্তিগত ঝামেলাকে রাজনৈতিক আঙিনায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
বোমাবাজির ঘটনা গ্রেফতার তৃণমূল নেতা। ধৃত তৃণমূল নেতার নাম কৃষ্ণ রাহা। তিনি বেলঘড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্য। সোমবার রাতে ওই এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় মোট দুজনকে গ্রেফতার করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের আজ রানাঘাট মহাকুমার আদালতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন:কয়লাকাণ্ডে ফের লালাকে তলব ইডির
তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, কোনও অপরাধের ঘটনা ঘটলেই তাকে সরাসরি রাজনৈতিক আঙিনায় টেনে আনা উচিত নয়। আগে খোঁজখবর নিয়ে দেখতে হবে, সেখানে কোনও ব্যক্তিশত্রুতা কাজ করছে কি না। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ভোটের পর থেকে তৃণমূলের সন্ত্রাসের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভয় দেখিয়ে দলে আনার চেষ্টা হচ্ছে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যদের।