নয়াদিল্লি: এবার থেকে কাশির সিরাপ সরকারি ল্যাবরেটরিতে (Government Laboratory) পরীক্ষা করাতে হবে। তারপরেই তা বিদেশে রফতানি করার অনুমতি মিলবে। সোমবার এমটাই নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র সরকার। ১ জুন থেকে নির্দিষ্ট সরকারি ল্যাবে কফ সিরাপ (Cough syrup) পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই নির্দেশের সঙ্গে সরকারি ল্যাবরেটরির তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
বেশ কয়েকটি দেশ ভারতে তৈরি কাশির সিরাপের কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।তারমধ্যে গত বছর ভারতীয় সংস্থার তৈরি কফ সিরাপ খেয়ে গাম্বিয়ায় (Gambia) ৬৬জন শিশুর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ আসে। এসব অভিযোগের জেরেই কেন্দ্র সরকার এদিন নির্দেশিকা জারি করেছে ।
জানা গিয়েছে, কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই-সহ একাধিক শহরে কফ সিরাপের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হবে। গত একবছরে ১৭০০ কোটি ডলারের কফ সিরাপ রফতানি করেছে ভারত। তারপরেই প্রকাশ্যে আসে গাম্বিয়ার ঘটনাটি।
আরও পড়ুন : Adhir Chowdhury | মমতা-কেজরিওয়াল ভোটপাখী, কটাক্ষ অধীরের
ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেডের (DGFT) তরফে সোমবার বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়। বলা হয়েছে, কফ সিরাপ রফতানির আগে সরকারি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করাতে হবে। নমুনা পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই বিদেশে রপ্তানির অনুমতি মিলবে।
নির্দিষ্ট কেন্দ্রিয় সরকারি ল্যাবগুলির মধ্যে রয়েছে, ভারতীয় ফার্মাকোপিয়া কমিশন, আঞ্চলিক ড্রাগ টেস্টিং ল্যাব (RDTL – চণ্ডীগড়), সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাব (CDL – কলকাতা), সেন্ট্রাল ড্রাগ টেস্টিং ল্যাব (CDTL – চেন্নাই হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই), RDTL (গুয়াহাটি) এবং NABL (ন্যাশনাল অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড ফর টেস্টিং অ্যান্ড ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরিজ) রাজ্য সরকারের স্বীকৃত ড্রাগ টেস্টিং ল্যাব।
উল্লখ্য, ভারত বিশ্বব্যাপী জেনেরিক ওষুধের বৃহত্তম সরবরাহকারী। বিভিন্ন ভ্যাকসিনের ৫০ শতাংশের বেশি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জেনেরিক চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যে সমস্ত ওষুধের প্রায় ২৫ শতাংশ সরবরাহ করে৷ ভারত বিশ্বব্যাপী ওষুধ উৎপাদনের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।