মুম্বই: পুলিশি হস্তক্ষেপে বাতিল হয়ে গেল মহারাষ্ট্রের (Maharastra) মারকাদওয়াড়ি গ্রামে পুনঃনির্বাচনের পরিকল্পনা। মহারাষ্ট্রে মারকাদওয়াড়ি গ্রামের বাসিন্দারা ব্যালট পেপারে পুনঃনির্বাচনের দাবি তোলে। গ্রামের মধ্যে ব্যানার টাঙিয়ে তারা লিখে দেয় ‘৩ তারিখ পুনঃনির্বাচন হবে’।
এর পরেই এই বিষয়ে কড়া হস্তক্ষেপ নেয় পুলিশ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় পুনঃনির্বাচন নিয়ে তাঁদের কোনও ধরনের পরিকল্পনা থাকলে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার পরেই নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে গ্রামবাসীরা।
মহারাষ্ট্রের সোলাপুর জেলার মালশিরাস (Malshrias) বিধানসভার অধীনে মারকাদওয়াড়ি (Markadwadi) গ্রাম। সেই গ্রামের বাসিন্দারা ব্যানার লাগিয়েছিল ‘পুনঃনির্বাচন ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে’। ওই আসন থেকে জয়ী এনসিপি (এসপি) প্রার্থী জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের মালশিরাস বিধানসভা বিভাগের একদল গ্রামবাসী মঙ্গলবার ব্যালট পেপার দিয়ে “পুনঃনির্বাচনের” জন্য জোর দিয়েছিল। পুলিশের হস্তক্ষেপের পরে তারা তাদের পরিকল্পনা থেকে সরে আসে।
আরও পড়ুন: তিনদিনের সফরে রাজ্যে আসছেন মোহন ভাগবত
এক বর্ষীয়ান পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হয়েছে। তাঁদের বলে দেওয়া হয়েছে, পুনঃনির্বাচনের কোনও পরিকল্পনা থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০ নভেম্বর হওয়া নির্বাচনে রেজাল্ট বের হয় ২ নভেম্বর। মালশিরাস বিধানসভা ভোটে এনসিপি(এসপি) উত্তম জানকর বিজেপির রাম সতপথীকে ১৩, ১৪৭ ভোটে হারিয়ে জয়ী হন। এর পরেই গ্রামের মানুষ দাবি করে, এই ভোটের রেজাল্ট তারা মেনে নেবে না। ইভিএম মেশিনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা। তাঁদের দাবি, এত কম ভোট পেতে পারেন না রাম সতপথী। তার পরেই গ্রামবাসীরা পুনঃনির্বাচনের জিগির তোলে।
মালশিরার মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট সোমবার ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ধারা ১৬৩-এর অধীনে, স্থানীয়দের পুনঃনির্বাচন পরিকল্পনার কারণে কোনও সংঘাত বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এড়াতে ২ থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এলাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। গ্রামে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মালশিরাস) নারায়ণ শিরগাভকর বলেন, তিনি গ্রামবাসীদের ও জানকরের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। আমরা তাদের আইনের বিষয়টি বুঝিয়েছি, সতর্ক করেছি যে একটি ভোট দিলেও মামলা নথিভুক্ত করা হবে।
জানকার জানিয়েছেন, তিনি পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন, গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনার পর গ্রামবাসীরা পুনঃনির্বাচনের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন।
দেখুন অন্য খবর: