নয়াদিল্লি: প্রয়াগরাজ হত্যাকাণ্ডে পুলিসের এফআইআরে ‘চরম গাফিলতি’র অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের অ্যাপয়েন্টমেন্টও চাওয়া হয়েছিল। শুক্রবার দুপুর ১২টায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে সময় দিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান। দলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে, জ্যোৎস্না মাণ্ডি ও উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠীর মানবাধিকার কমিশনে যাবেন।
রবিবার তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম প্রয়াগরাজে যায়। মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। তার পর মঙ্গলবার মানবাধিকার কমিশনে চিঠি দেয় তৃণমূল। চিঠিতে লেখা হয়, ‘প্রয়াগরাজে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিসের এফআইআরে চরম গাফিলতির বিষয়টি উঠে এসেছে। পরিবারের সদস্য সুনীল যাদব যে সমস্ত অভিযোগ করেছেন, তার অধিকাংশই এফআইআর থেকে বাদ দিয়েছে পুলিস। সুনীলের স্ত্রী ও বোনের বিবস্ত্র রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অনুমান, ওই দু’জনকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এফআইআরে এই ধর্ষণের বিষয়টিরও উল্লেখ নেই। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, এই বিষয়টি বারবার উল্লেখ করা হলেও পুলিস তা এফআইআরে রাখেনি।’

সম্প্রতি প্রয়াগরাজে একই পরিবারের পাঁচজনকে খুনের পর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ মর্মান্তিক ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় দু’বছরের এক শিশুরও৷ নিহতরা হলেন, রাম কুমার যাদব (৫৫), তাঁর স্ত্রী কুসুম দেবী (৫২), মেয়ে মণীষা (২৫), পুত্রবধূ সবিতা (২৭) এবং নাতনি মীনাক্ষী (২)৷ ছেলে সুনীল এবং নাতনি সাক্ষী সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না৷ তাঁরা বেঁচে যান৷ মৃতদেহগুলিতে ক্ষতের চিহ্ন মেলে। সিনিয়র পুলিস অফিসার অজয় কুমার জানিয়েছিলেন, প্রত্যেকের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন: Goa TMC: প্রশান্ত কিশোরকে দুষে দল ছাড়লেন গোয়া তৃণমূলের সভাপতি কিরণ কান্দোলকর
শনিবার সকাল থেকেই এই ঘটনায় তপ্ত দেশের রাজনীতি। হত্যাকাণ্ডের তদন্তে তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে৷ স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন, তাঁরা রাম যাদবের বাড়িতে আগুন দেখতে পেয়ে পুলিসকে খবর দেন৷ পুলিস ও দমকল পৌঁছে ঘর থেকে পাঁচজনের দেহ উদ্ধার করে৷ বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ও দেশের প্রতিটি বিরোধী দল। চাপে পরে এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। দোষীদের কোনও ভাবেই ছাড়া হবে না বলে পুলিস এবং প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।