কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : সামরিক ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হওয়ার কথা অনেক দিন ধরেই বলে আসছেন ভারতীয় নীতি নির্ধারকরা। ফলে, সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম নেওয়ার বিষয়ে রাশিয়ার উপর বর্তমানে ভারত অনেকটাই কম নির্ভরশীল। কিন্তু ভারতীয় সামরিক বাহিনী রাশিয়ার থেকে নেওয়া সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম ছাড়া কাজ করতে পারে না। এই বিষয়ে ভারত রাশিয়ার উপর কাছে এবং মধ্যবর্তী পর্যায়ে নির্ভর করতে থাকবে বলেই জানিয়েছে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস অর্থাৎ (CRS)-এর একটি প্রতিবেদনে।
এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের রাশিয়ার থেকে সামরিক অস্ত্র নেওয়ার বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যে সেটি কাউন্টারিং আমেরিকাস অ্যাডভারসারি থ্রু সেকশনস অ্যাক্ট অর্থাৎ (CAATSA) এর অধীনে দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে কিনা।
ভারতে এবং তার বাইরেও অনেক বিষেশজ্ঞের মতামত, ভারতীয় সামরিক বাহিনী রাশিয়ান সরবরাহ করা সরঞ্জাম ছাড়া কাজ করতে পারে না এবং কাছাকাছি এবং মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ান অস্ত্র ব্যবস্থার উপর নির্ভর করতে থাকবে।
আরও পড়ুন – কেন্দ্রের আবেদন খারিজ, সুপ্রিম কোর্টের ঠিক করা কমিটিই খুঁজে দেখবে কীভাবে পেগাসাস
CRS বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে পর্যায়ক্রমিক প্রতিবেদন তৈরি করে। এই রিপোর্টগুলি CSR-এর অফিসিয়াল রিপোর্ট নয়। এই রিপোর্টগুলির মূলত বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়। ‘রাশিয়ান অস্ত্র বিক্রয় এবং প্রতিরক্ষা শিল্প’ নামক এরকমই এক রিপোর্টে CRS জানিয়েছে, ভারতকে মস্কো যে অস্ত্র ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তি সরবরাহ করে আসছে তা অন্য কোন দেশ রপ্তানি করবে না। রাশিয়া তুলনামূলক উন্নত অস্ত্রের সম্ভার দিয়ে চলেছে ভারতকে।
আরও পড়ুন – নরেন্দ্র মোদির মন জুড়ে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর: অমিত শাহ
সামরিক ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হওয়ার কথা বলার পর থেকে একটি গ্রাফ দেখা গিয়েছে ২০১৫ সাল অর্থাৎ মোদী সরকারের অধীনে, রাশিয়া থেকে সরঞ্জাম আমদানি ক্রমশই কমে গিয়েছে। যদিও ভারত গত বছর ৫.৪ বিলিয়ন ডলার দিয়ে রাশিয়ার থেকে পাঁচটি এস -৪০০ সিস্টেম কিনতে চুক্তি করেছিল। সেই অস্ত্র ভারতকে দেওয়ার প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। আশা করা যায় চলতি বছরের শেষের দিকে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে এস -৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পেয়ে যাবে।
এছাড়াও বর্তমানে ভারতের কাছে রাশিয়ার থেকে নেওয়া ভারতীয় বায়ুসেনার ৬৬৭ বিমান রয়েছে। যার ৭১ শতাংশই রাশিয়ার। যে এয়ার ট্যাঙ্কার গুলি রয়েছে সেগুলিও রাশিয়ার থেকে আমদানি করা হয়েছে।