ওয়েব ডেস্ক: কেরলের (Kerala) কোঝিকোড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মনকুলঙ্গারা মন্দিরে (Temple) পুণ্যার্থীদের ভিড়ের মধ্যেই দু’টি হাতির তাণ্ডবে (Elephant Attack) প্রাণ হারালেন তিন জন। আহত হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এদিন সন্ধ্যারতির সময় পুণ্যার্থীদের একটি দল বাজি ফাটাতে শুরু করেন। তখনই মন্দির প্রাঙ্গণে থাকা দু’টি হাতি আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। হঠাৎ চিৎকার করে ছোটাছুটি শুরু করে তারা।
আচমকা বিশালাকার হাতিগুলি দৌরাত্ম্য শুরু করলে মন্দির চত্বরে চরম বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে পুণ্যার্থীরা মন্দির ছেড়ে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রবল হুড়োহুড়ি শুরু হয় এবং পদপিষ্ট (Stampede) হন বহু মানুষ। পাশাপাশি, হাতির দৌড়ে মন্দিরের একাংশের পাঁচিল ভেঙে পড়ে। পাঁচিলের নীচে চাপা পড়েন বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থী। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: RBI-এর কোপ, বন্ধ ব্যাঙ্কের সমস্ত লেনদেন, চরম সমস্যায় গ্রাহকরা
অতর্কিত বাজির শব্দের ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়া হাতি দু’টিকে শান্ত করার চেষ্টা করেন মাহুতরা। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর তাদের নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে এই ঘটনায় হাতির মালিক ও মাহুতদের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই ঘটনার পর মন্দির কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কী কারণে হাতি দু’টিকে মন্দির চত্বরে রাখা হয়েছিল এবং বাজি ফাটানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন মন্দির কমিটির একাধিক সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
দেখুন আরও খবর: