কানপুর: অস্ত্র আইনে শনিবার কানপুরের এক আদালত দোষী সাব্যস্ত করে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী রাকেশ সঞ্চনকে৷ যোগী মন্ত্রিসভার ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প দফতরের মন্ত্রী তিনি৷ তাঁর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র আইনে মামলা চলছিল৷ তিন দশক পুরনো সেই মামলাতে দোষী সাব্যস্ত হন রাকেশ সঞ্চন৷ অভিযোগ, আদালতের রায়ে অসন্তুষ্ট মন্ত্রী সাজা ঘোষণার আগেই না কি বেরিয়ে যান৷ মন্ত্রীর দেখাদেখি আদালতকক্ষ ছাড়েন তাঁর আইনজীবী এবং অনুগামীরা৷
পরে আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার খবর অস্বীকার করেন মন্ত্রী৷ জানান, ওই দিন চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল না৷ মন্ত্রীর দাবি খারিজ করে দিয়েছেন প্রসিকিউশন অফিসার রিচা গুপ্তা৷ তিনি জানান, সাজার ব্যাপারে বিপক্ষের আইনজীবীকে আদালত তাঁর বক্তব্য সামনে রাখতে বলে৷ তখন জামিনের জন্য যে বন্ড জমা দিতে বলা হয়েছিল তা জমা না দিয়েই বেরিয়ে যান তিনি৷ এরপরই আদালত অবমাননার দায়ে গভীর রাতে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোতওয়ালি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়৷
কানপুরের জয়েন্ট সুপার আনন্দপ্রকাশ তিওয়ারি জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ আদালতের ভিতর ও বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে৷ এব্যাপারে কয়েকজনের বয়ানও রেকর্ড করা হবে৷ দু-একদিনের মধ্যে তদন্ত শেষ হবে বলে জানান তিনি৷
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে যোগাযোগ করা হয় রাকেশের সঙ্গে৷ মন্ত্রী জানান, তিনি এখন কানপুরে রয়েছেন৷ বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে কথা বলবেন৷ যদিও সূত্রের খবর, যোগী আদিত্যনাথ তাঁকে লখনউ ডেকে পাঠাতে পারেন৷ কানপুরের বাসিন্দা রাকেশ সঞ্চন সমাজবাদী পার্টির হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন৷ ১৯৯৩ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি ঘতমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন৷ ২০০৯ সালে সাংসদও নির্বাচিত হন৷ সেবছর তিনি সাংসদ হন ফতেহপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে৷ মুলায়ম সিং ঘনিষ্ঠ এই নেতা পরবর্তীকালে কংগ্রেসে যোগ দেন৷ তবে এবারের বিধানসভা ভোটের আগে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে আসেন৷ তাঁকে ভগ্নীপুর কেন্দ্রে প্রার্থীও করে৷ নির্বাচনে জিতে ফের বিধায়ক হন৷ তারপর তাঁকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেন যোগী আদিত্যনাথ৷