নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) কংগ্রেস সাংসদের (Congress MP) বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ। কংগ্রেসের নবনির্বাচিত রাজ্যসভার সাংসদ, তথা বিশিষ্ট আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির (Abhishek Manu Singhvi) চেয়ারে নগদ টাকার গোছা উদ্ধার হয়েছে। এই অভিযোগ এনেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকর (Jagdeep Dhankhar)। এই ঘটনার নিন্দা করেছেন রাজ্যসভায় বিজেপির দলনেতা জেপি নাড্ডা।
তবে রাজ্যসভার আসনে টাকা উদ্ধারের তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই কেন সংশ্লিষ্ট সাংসদের নাম প্রকাশ করা হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতবি হয়ে যাওয়ার পর এদিন রুটিন মাফিক অ্যান্টি সাবতাজ পরীক্ষা চলাকালীন ওই নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনা জানিয়েছেন সভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকর।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব বিতর্কে কেন্দ্রের বক্তব্য তলব দিল্লি হাইকোর্টের
২২২ নম্বর আসন, যেটি অভিষেক মনু সিংভির জন্য বরাদ্দ, সেখানে নিয়ম মাফিক অ্যান্টি সাবতাজ তল্লাশি চালানোর সময় নগদ টাকা উদ্ধার হয়। বিষয়টি জানার পর নিয়ম মাফিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধনকর। এদিকে সিংভি জানিয়েছেন, বিষয়টি জেনে আমি বিস্মিত। গতকাল দুপুর বারোটা ৫৭ মিনিট নাগাদ রাজ্যসভায় যাই। একটার সময় সভা মুলতুবি হয়। তিন চার মিনিট সেখানে ছিলাম। দুপুর একটা থেকে একটা তিরিশ মিনিট অযোধ্যা রামি রেড্ডির সঙ্গে ক্যান্টিনে ছিলাম। তারপর মধ্যাহ্নভোজ সেরে সংসদ ত্যাগ করি।
সিংভি বলেন, এই অবস্থায় বিষয়টি শেষ পর্যন্ত খতিয়ে দেখা দরকার। সংসদ ভবনের ভিতরে কে, কিভাবে কোন জিনিস এভাবে রেখে যেতে পারে! অভিযোগটি আপাতদৃষ্টিতে হাস্যকর। যদি না বিষয়টিকে কেউ গুরুতর হিসেবে বিবেচনা করেন। অনেকেই আবার এর মধ্যে রাজনীতি খুঁজছেন। মনে হচ্ছে, এমন আসন থাকা দরকার, যেখানে উঠে যাওয়ার সময় আসন লক করে রাখা যায়। সেইসঙ্গে সিংভি বলেছেন, বিষয়টি আদতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতা। তাই এর বিস্তারিত তদন্ত হওয়া উচিত।
শুক্রবার অধিবেশনের শুরুতেই উপরাষ্ট্রপতি জানান, বৃহস্পতিবার নিয়মমাফিক তল্লাশি শেষে ২২২ নম্বর আসন থেকে ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে। তাই আইনি পদ্ধতিতে গোটা ঘটনার তদন্ত হবে। সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সিংভি নিজেও।
দেখুন অন্য খবর: