বাংলাদেশ: ৬ মাস আগে ছাত্র আন্দোলনের জেরে নিজের পদ থেকে পদত্যাগ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশ্রয় নেন ভারতে। দেশ ছাড়ার পরেই বাংলাদেশে আক্রান্তের শিকার হতে হয় শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিকে। আর এবার দীর্ঘ ৬ মাস পর ফের যখন শেখ হাসিনা নিজের দলের এবং দেশের উদ্দেশে গতকাল অর্থাৎ বুধবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দিচ্ছিলেন ভারত থেকে, ঠিক সেই সময় থেকেই আবারও বাংলাদেশ উত্তাল হতে দেখা গেল। ফের শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির উপর চালানো হল আক্রমণ। তাঁর ৩২ নম্বর ধানমণ্ডির বাড়ি ভাঙতে দেখা গেল উন্মত্ত জনতাকে। আর সেই প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত।
আরও পড়ুন: দেশ ছাড়ার ৬ মাস পর দলের উদ্দেশে ভার্চুয়ালি ভাষণ দিতে চলেছেন শেখ হাসিনা
সারা রাত শেখ মুজিবুর রেহমানের বাড়িতে চলল আক্রমণ, সকালেও উন্মত্ত জনতা বাড়ি ভাঙার কাজে মশগুল। শুধুমাত্র তাই নয়, বাড়ি ভাঙার জন্য আনা হয়েছে দুটি ক্রেন! সারা বাংলাদেশ জুড়ে চলছে বুলডোজার কর্মসূচি।
শুধুমাত্র সেখ মুজিবুরের বাড়ি ভাঙাতেই অব্যহতি নেয়নি বাংলাদেশের উন্মত্ত জনতা অদূরেই রয়েছে শেখ হাসিনার বাড়ি সুধা সদন, সেটিও আগুন লাগিয়ে বাড়ি পুরিয়ে ফেলা হচ্ছে উন্মত্ত ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনার বাড়ির আগুন নেভানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। একতলার আগুন নেভানো হলেও, দোতলায় এখনও দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন।
শুধুমাত্র ঢাকা জুরে তাণ্ডব চলছেনা। এককথায় গোটা বাংলাদেশ জুড়ে এই তাণ্ডব অব্যাহত। রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, রংপুর, সিলেটেও রাতভর মুজিবুর রহমানের স্মৃতি মুছে ফেলার কাজ চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এই তাণ্ডবে মেতেছেন। ক্যাম্পাসের ছাত্ররা শাবল, কুড়ুল হাতে মুজিবুর রহমানের অবশিষ্ট মূর্তি, ম্যুরাল এবং শেখ হাসিনার নাম লেখা ফলক গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজে মেতেছেন। শুধুমাত্র স্মৃতি মুছে ফেলার কাজই চলছেনা, সেই স্মৃতি ধ্বংস করে উল্লাসেও মাততে দেখা যাচ্ছে তাদের।
শুধুমাত্র যে আওয়ামী লিগ প্রধানের বাড়িতে এই তাণ্ডব চলেছে তা কিন্তু নয়, হামলা চালানো হয়েছে বহু আওয়ামী লিগ নেতাদের ঘরবাড়িতেও। কুমিল্লায় আওয়ামী লিগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিমের বাড়িতে আগুন দেওয়ার পর ভাঙা হয়। হামলা চালানো হয়েছে আওয়ামী লিগের আর এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের বাড়িতেও।
উন্মত্ত ছাত্রদের তরফ থেকে বারবার স্লোগান ভেসে আসে ‘নারায়ে তকবির, আল্লাহ আকবর।’ যা গত বছরের ৫ অগাস্টের স্মৃতি ফের ফিরিয়ে আনে।
সূত্রের খবর, দেশে যে এই ধ্বংসলীলা চলছে সেই পরিস্থিতে নাকি একবারও বাধা দেওয়া হয়নি পুলিশ বা সেনার তরফ থেকে।
দেখুন অন্য খবর