কলকাতা: এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM Hospital) মর্গ থেকে বন্দির দেহ লোপাট (Missing Body)। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। মৃতের নাম বাবলু পোল্লে। বাড়িওয়ালাকে খুনের অভিযোগে গত ১৫ বছর ধরে হাওড়া সংশোধনাগারে ছিলেন বাবলু। সপ্তমীর দিন মৃত্যু হয় বিচারাধীন বন্দির। তার দেহ রাখা হয়েছিল হাসপাতালের মর্গে। কিন্তু আচমকাই উধাও হয়ে গেল সেই মৃতদেহ বলে অভিযোগ। পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
মৃতের পরিবারের দাবি, সপ্তমীর দিন ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। নবমীর দিন দেহ খুঁজতে হাসপাতালে পৌঁছয় পরিবার। মর্গ থেকে বের করে একাধিক ব্যক্তির দেহ দেখানো হয় তাঁদের। কিন্তু কোনওটাই ওই বিচারাধীন বন্দির নয় বলে দাবি পরিবারের। ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে হেস্টিংস থানার পুলিশ। শহরের অন্যতম বড় সরকারি হাসপাতালে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন: যাদবপুর-কাণ্ডে ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা কলকাতা পুলিশের
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়েছিল আমতার বাবলুকে। জেলে থাকাকালীন নানা রোগে আক্রান্ত হন বাবলু। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে এনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু অসুস্থতা বাড়তে সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। বাবলুর পরিবারকে থানার তরফ থেকে মৃত্যুর খবর জানানো হয়। নবমীর দিন হাসপাতালে পৌঁছন পরিবারের সদস্যরা।
মর্গ থেকে দেহ বের করে দেখানো হলে, পরিবার জানায় সেটি বাবলুর দেহ নয়। এরপর আরও একাধিক দেহ দেখানো হলেও পরিবারে জানায় একটিও বাবলুর দেহ নয়। এরপরই মামলা রুজু করে পুলিশ। ভবানীপুর থানা সূত্রের খবর জানিয়েছেন এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছেন, বাবলুর মৃতদেহ অন্য কোনও পরিবার নিয়ে চলে গেছে। তবে পরিবারের অভিযোগ, জেলে পিটিয়ে মেরে, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করে দিয়ে দেওয়া হয়েছে তার।
আরও অন্য খবর দেখুন