কলকাতা: বড়দিনে কাজাখস্তানে (Kazakhstan) প্রাণঘাতী আজেরবাইজান বিমান (Azerbaijan Airline) দুর্ঘটনায় এবার নয়া তত্ত্ব সামনে এল। রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য দুর্ঘটনাবশত বিমানটিতে হামলা হয়ে থাকতে পারে। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। বুধবার কাজাখস্তানের আকটাউয়ের কাছে বিমানটি ভেঙে পড়েছিল। ঘটনার আগে জরুরি অবতরণের অনুরোধ এসেছিল। বাকু থেকে রাশিয়ার (Russia) গ্রঞ্জি যাচ্ছিল ওই বিমান। দুর্ঘটনাবশত রাশিয়ার ভূমি থেকে আকাশে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র (Missile) হামলার শিকার হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনায় ৬২ জন যাত্রী ও বিমানের পাঁচ জন ক্রুর সদস্যের মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। তাতে উঠে এসেছে, বিমানে অনেকগুলি ছিদ্র দেখা গিয়েছে। যে এলাকায় আজেরবাইজান এয়ারলাইন্সের ওই বিমান উড়ছিল সেখানে ইউক্রেনের ড্রোনের গতিবিধি রয়েছে। এবং গ্রঞ্জির ওই এলাকা ইউক্রেনের অন্যতম টার্গেটের এলাকা। সেখানে রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয়। রাশিয়ার সামরিক ব্লগার ইউরি পোদোলকা সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, বিমানের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ছিদ্র দেখা গিযেছে। এই ধরনের ছিদ্র ‘অ্যান্টি এয়ারক্রাফট মিসাইল’ সিস্টেমেই হয়। ক্ষেপণাস্ত্র বিরোধী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আঘাতে এটা হওয়ার সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: কাজাখস্তানে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা, মৃত বহু
জরুরি অবতরণ করতে গিয়ে এয়ারপোর্টের তিন কিলোমিটারের মধ্যে ভেঙে পড়ে বিমানটি। আজেরবাইজান বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, পাখির আঘাত থেকে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। পরে ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বিমানের ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে ভয়েস রেকর্ডার খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিমানটি ধ্বংস হলে এটা নিয়ে দ্বিতীয় ওই ধরনের ঘটনা হবে। ২০১৪ সালে মালয়েশিয়ার বিমান এমএইচ ১৭-কে ডনবাসে রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট বাহিনী গুলি করে নামিয়েছিল। ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় এই হামলা হয়। তবে এই সম্ভাবনা এখনই মানতে চায়নি রাশিয়া। মস্কোর মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই বিষয়ে বলেছেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এরকম বলা ঠিক নয়।
দেখুন অন্য খবর: