দার্জিলিং: পশ্চিমবঙ্গের শৈল শহর দার্জিলিংয়ের কোনও হোটেলে আর জায়গা হবে না বাংলাদেশি পর্যটকদের। সম্প্রতি, হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছে। তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁদের কাছে দেশ আগে, ব্যবসা পরে। বাংলাদেশিদের ভারতবিদ্বেষী মনোভাব এবং সেদেশে ভারতের পতাকার অবমাননার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। যদিও বাংলার শৈল শহরে এই বিষয়টি নিয়ে অনেকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। এর মাঝে তাঁদের বৈঠক এবং ভোটাভুটিও হয়েছে। তাতেই হোটেল মালিকদের ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দিতে নারাজ। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘গ্রেটার শিলিগুড়ি হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ এই বিষয়ে বলেন, “বিভিন্ন সংগঠন স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। কিন্তু সেটা বড় কথা নয়। যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে গেলে কিছু নিয়ম মানতে হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী ভোটপ্রক্রিয়া হয়েছিল। তাতে প্রায় ৯৭ শতাংশ ভোট বাংলাদেশিদের বিপক্ষে পড়েছে।”
আরও পড়ুন: বর্ডারে বাড়ছে নজরদারি! বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ রুখতে কোমর বাঁধছে BSF
সম্প্রতি শুরু হয়েছে শীতের মরশুম। দার্জিলিংয়ে এটাই পর্যটনের মোক্ষম সময়। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর শীতের মরশুমে ২৫ থেকে ৩০ হাজার বাংলাদেশি পর্যটক দার্জিলিংয়ে বেড়াতে আসেন। এই সময়ে তাঁদের হোটেলে জায়গা না দেওয়া ব্যবসায় প্রভাব ফেলবে। কিন্তু তাতেও এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে বিন্দুমাত্র ভাবেননি হোটেল মালিকরা। কারণ, তাঁদের কাছে দেশ আগে। ‘ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর’-এর সদস্য দেবাশিষ মৈত্র বলেন, “আমাদের কাছে আগে দেশ। ব্যবসার ক্ষতি হবে, হোক। হোটেল সংগঠন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সঠিক।” হোটেল মালিকরা জানিয়েছেন, যতদিন না পর্যন্ত বাংলাদেশ ভারতের প্রতি কটুক্তি এবং জাতীয় পতাকার প্রতি অবমাননার জন্য ক্ষমা চাইবে, ততদিন এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। সমস্ত হোটেলকে এই সিদ্ধান্ত মানতে হবে এবং প্রত্যেকটি হোটেলে পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছে সংগঠন।
দেখুন আরও খবর: