বাঁকুড়া: হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। রাজ্যের আকাশে-বাতাসে শরতের গন্ধ। বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে সেজে উঠছে বাঁকুড়া জেলার জয়পুরের রাজগ্রামের রাহা বাড়িও। রীতি মেনেই রাহা জমিদার বাড়িতে দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু হবে। পুজোর কটা দিন হারানো স্মৃতি খুঁজে বেড়ান বংশধরেরা। বর্ধমান রাজার সৌজন্যে বাঁকুড়ার জয়পুরের রাজগ্রামে রাহা জমিদার বাড়ির উত্থান।
স্বপ্নাদেশে দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু হয়েছিল রাহা জমিদার বাড়িতে। পুজোর বয়স ২৫০ অতিক্রান্ত। আজ জমিদার না থাকলেও কিন্তু, প্রাচীনএই জনপ্রিয় পুজোর টানে দুর্গা দালানে দেবী দুর্গার আরাধনার মধ্য দিয়ে হারানো স্মৃতি খুঁজে পান জমিদার বাড়ির বংশধরেরা।
আরও পড়ুন: ওপার বাংলার শারদীয়া, চলছে প্রস্তুতি
বর্ধমান রাজার তালুকদার ছিলেন বাঁকুড়ার জয়পুরের রাজগ্রামের রাহা পরিবারের আদি পুরুষ। সেই সুবাদেই রাহা জমিদারদের উত্থান। চারদিকে যতদূর চোখ যায়, ঠিক ততদূরই ছিল রাহা জমিদারদের বিশাল সম্পত্তি। আর তাতেই ফুলে ফেঁপে উঠে জমিদার বাড়ির কোষাগার আর জৌলুস। জমিদার বাড়ির চৌহুদ্দির মধ্যে রয়েছে ১৭ চূড়ার রাসমঞ্চ। তার ঠিক পাশেই রয়েছে টেরাকোটার অপূর্ব কারুকার্য্য ভরা গিরিগোবর্ধন মন্দির। মাঝে আটচালা আর দুর্গাদালান। তার পাশেই ভাঙ্গাচুরা চুনসুরকির দেওয়াল খসে পড়ে রাহা জমিদার বাড়ি। এইসব স্মৃতিই জানান দিচ্ছে রাহা জমিদারদের ইতিহাস।
কথিত আছে, রাহা জমিদার বাড়ির পূর্বপুরুষ স্বপ্নাদেশ পেয়ে দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। এদিকে ইতিহাস বলছে, যা ২৫০ বছরের বেশী প্রাচীন। সেই প্রাচীন পুজো বংশ পরম্পপরায় আজও কিন্তু টিকে রয়েছে রাহাদের প্রাচীন দুর্গাদালানে। নিয়ম মেনে প্রাচীন রীতি মেনে দেবী দুর্গার আরাধনা করে চলেছেন রাহা জমিদার বাড়ির বংশধরেরা। যদিও কর্মসূত্রে অনেকেই বাইরে থাকেন, কিন্তু তাঁরা প্রানের পুজোতে ছুটে আসেন বাইরে থেকে। পুজোর কটা দিন রাহা জমিদার বাড়ির দুর্গাদালান গমগম করে।
অন্য খবর দেখুন: