কলকাতা: শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব তিথি (Shri Harichand Thakur) উপলক্ষে শুরু হল বারুণী মেলা (Baruni Mela)। এটি মতুয়া সম্প্রদায়ের মেলা হিসেবেই পরিচিত। তবে এবছর মেলার একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।
রাজনৈতিক মতানৈক্য দূরে সরিয়ে রেখে ঠাকুরবাড়িতে (ThakurBari) মমতাবালা ঠাকুর (Mamata Bala Thakur) এবং সুব্রত ঠাকুরের (Subrata Thakur) পরিবার যৌথভাবে মেলার আয়োজন করেছে। দুই পরিবারের পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে, ভক্তদের কথা মাথায় রেখে রাজনৈতিক মতানৈক্যকে সরিয়ে রেখে এই অনুষ্ঠানের গুরুত্বকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
এই মুহূর্তে লন্ডনে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর অনুপস্থিতিতে যাতে রাজ্যে কাজে কোনও বিঘ্ন না ঘটে তার জন্য টাস্ক ফোর্স গঠন করে দিয়ে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি হয়ে এই মেলায় আসেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu)। প্রথমে তিনি ঠাকুরবাড়িতে বড়মা বীণাপানি দেবীর ঘরে দিয়ে সেখানে তাঁর মূর্তিতে মালা দেন তিনি। পরে হরিমন্দিরে প্রবেশ করে ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন, পুজো দেন।
আরও পড়ুন: ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত! বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে শুরু তরজা
দমকলমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবে আমি হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে ঠাকুরবাড়িতে এসেছি। পুজো দিয়েছি। খুব ভালো লাগছে।‘
দুই পরিবার যৌথ ভাবে এই মেলার আয়োজন নিয়ে সুজিত বসু বলেন, ‘ঠাকুরের পুজোয় রাজনীতি হয় না। পুজোতে রাজনীতির ঊর্ধ্বে। তাই সেখানে মিলে মিশে কাজ করাই শ্রেয়।
উল্লেখ্য, প্রতি বছরই হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষে উত্তর ২৪ পরগনা ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ির কামনা সাগরে পূণ্য স্নান করেন লক্ষাধিক মতুয়া ভক্ত। দূর দূরান্ত থেকে ভক্ত সমাগম হয়। ঠাকুরনগরে বসে মতুয়া ধর্ম মহামেলা। এবছর মার্চ মাসের ২৭ তারিখে সেই পূণ্য স্নানের তিথি পড়েছে। তার পর থেকে এই মেলা সাতদিন চলবে।
দেখুন অন্য খবর: