মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে বিধায়কের বাড়িতে হানা সেন্ট্রাল ফোর্সের! টানা ৮ ঘণ্টা তদন্ত এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে বের হয় সেন্ট্রাল জি এস টির দল। তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বিড়ি প্রডাকশনের অফিসে চলে তল্লাশি। সেন্ট্রাল জি এস টি দলের সঙ্গে ছিল সিআরপিএফ জাওয়ানরা।
বিড়ি প্রডাকশনে কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগে বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়িতে হানা দেয় সেন্ট্রাল জি এস টি দল। যদিও বিধায়কের সাফ দাবি, তিনি একজন স্বচ্ছ ব্যবসায়ী। প্রায় ৩০ হাজার বিড়ি শ্রমিক তার হয়ে কাজ করেন। জিএসটি ফাঁকি তিনি দেননি। তবে তার সবকিছুই ম্যানুয়াল, সুতরাং শ্রমিকদের কিছুটা হের ফের হতে পারে।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে আবার জেলেই ফিরলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
টানা ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তদন্ত। বিধায়ক জানিয়েছেন, তিনি তদন্তে সবরকম সাহায্য করেছেন। পাশাপাশি তিনি জানান, আইন মেনে ব্যবসা করেন তিনি। ফলে ওই জি এস টি অফিসাররা ফিরে গিয়ে সঠিক রিপোর্ট দেবে সেটাই তিনি আশা করেন। যদিও তাঁর আশঙ্কা, সেন্ট্রালের তরফ থেকে তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে। কারণ এর আগেও সেন্ট্রালের বহু এজেন্সির পক্ষ থেকে তাঁকে টার্গেট করে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য বাড়িতে সেন্ট্রাল ফোর্স পৌঁছেছে।
উল্লেখ্য, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাকির হোসেনের সুতির ঔরঙ্গাবাদের বিড়ি প্রডাকশন অফিস সহ একসঙ্গে তিনটি জায়গায় তদন্ত শুরু করে সেন্ট্রালের জি এস টি টিম। প্রচুর সিআরপিএফ জওয়ান এলাকা ঘিরে রাখে। ভোররাত পর্যন্ত চলে তদন্ত। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকাজুড়ে। বিড়ি সরবরাহ করার সময় গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স ঠিকভাবে দেওয়া হয়েছে কিনা এই ইস্যুকে সামনে রেখে ৮ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে সেন্ট্রালের তরফ থেকে চলে তদন্ত এবং জিজ্ঞাসাবাদ। একই সঙ্গে জিএসটি ফাঁকি দিয়ে অন্য কোন পন্য সরবরাহ করা হয়েছে কিনা তারও তদন্ত চলে। অবশেষে বুধবার রাত্রি পৌনে দুটো নাগাদ তদন্ত শেষ করে বেরিয়ে যায় সেন্ট্রাল টিম।
দেখুন অন্য খবর