কলকাতা: ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছটা থেকে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallik ) একাধিক বাড়িতে তল্লাশি শুরু হয়। রেশন দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে জেরা করেই নাম উঠে আসে জ্যোতিপ্রিয় ওরফে বালুর নাম। তাঁর একাধিক আপ্ত সহায়কের বাড়িতেও তল্লাশি চলছে। অমিত দে নামে মন্ত্রীর এক আপ্ত সহায়ক পুরীতে গিয়েছেন। তাঁর খোঁজে পুরীতে রওনা দিয়েছেন ইডির একদল অফিসার। সূত্রের খবর, অমিতের বাড়ি সিল করে দিতে পারে ইডি। দীর্ঘ নয় ঘণ্টা ধরে আমহার্স্ট স্ট্রিটের পৈতৃক বাড়ি, সল্টলেকের বাড়িতে অভিযান চালু রয়েছে। বাড়ি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এদিন বলেন, বালুর সুগার আছে। ওর শরীর খারাপ। ওর মৃত্যু হলে বিজেপি এবং ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর করব। সকাল থেকে ওর বাড়িতে তল্লাশি চলছে। কই, বিজেপির কোনও চোরের বাড়িতে তো তল্লাশি হয় না। বেছে বেছে শুধু তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের বাড়িতে অভিযান চলছে। সব মন্ত্রীর বাড়িতে অভিযান চললে সরকারটা আর বাকি থাকে কেন।
আরও পড়ুন: কনজিউমার ফোরামের বিচারক বদলিতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
মমতার অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে বিজেপি এসব করছে। অভিষেকের কাছে ১৯৮১-৮২ সালের হিসেব চাওয়া হচ্ছে। ও তো তখন জন্মায়ইনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওদের তৃণমূলকে এত ভয় কেন, বুঝি না। তাঁর হুঁশিয়ারি, এভাবে তৃণমূলের মুখ বন্ধ করা যাবে না। মমতার আরও অভিযোগ, তল্লাশির নামে শাড়ি, কসমেটিক্সের পর্যন্ত ছবি তুলে রাখা হচ্ছে। বিজেপি নোংরা খেলা খেলছে। আমরা মুখ বুজে অনেক সহ্য করেছি। আর নয়।
প্রায় দেড় মাস পর মুখ্যমন্ত্রী এদিনই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে আসেন। স্পেনে তিনি পায়ে চোট পেয়েছিলেন। ফিরে এসেই মমতা এসএসকেএম হাসপাতালে যান চিকিতসার জন্য। ডাক্তাররা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি বাড়িতেই থাকবেন বলে জেদ ধরেন। শেশ পর্যন্ত বাড়িতেই তাঁর চিকিতসা চলে। এতদিন মুখ্যমন্ত্রী বাইরে আসেননি। বৃহস্পতিবার তিনি কালীঘাটের বাড়ি সংলগ্ন অফিস থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন। বৈঠকের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সাংবাদিক বৈঠক কিন্তু রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে নয়। তবে আগাগোড়াই তিনি রাজনাতির কথাই বলেন।
আরও অন্য খবর দেখুন