হুগলি: বর্ষায় ডায়রিয়ার মত জলবাহিত রোগ বেশি হয়। তবে এবার শীতের প্রাক্কালে পানীয় জলের কল থেকে ডায়রিয়া ছড়ানোর আতঙ্ক তৈরি হল হুগলি জেলার গ্রামীণ এলাকায়। হুগলির বলাগড়ে বাকুলিয়া ধোবাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ইতিমধ্যে ৩২ থেকে ৪০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। ইতিমধ্যে ২ জনের মৃত্যুও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর সেই কারণেই পানীয় জলের কল থেকে ডায়রিয়া ছড়াচ্ছে বলে সন্দেহ করছেন এলাকাবাসী। সুত্রের খবর, গত রবিবার থেকে এই এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে, যেখানে অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মাতাল টুডু (৫০) ও বনি কিস্কু (৬০) নামে ২ জনের মৃত্যুর খবরও সামনে এসেছে। এর পরেই পঞ্চায়েত ও স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে এলাকার সমস্ত পানীয় জলের টিউবওয়েল খুলে ফেলা হয়েছে। এমনকি, গ্রামের যে দুটি পুকুর রয়েছে সেখানে ব্যানার ঝুলিয়ে পুকুরের জল ব্যবহার করার জন্য নিষেধ করা হয়েছে গ্রামবাসীদের। সেই কারণে এই মুহূর্তে সেখানে জলের ট্যাংক থেকে পানীয় জলের চাহিদা মেটানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ব্ল্যাকমেল করে দিনের পর দিন ধর্ষণ! ফাঁকা বাড়িতেই নির্যাতিতা নাবালিকা
মৃতদের পরিবার ও গ্রামবাসীদের তরফে জানা গিয়েছে, বিগত কয়েকদিন ধরেই এলাকার অনেকের পেট খারাপ ও বমি হচ্ছিল। তবে, কি কারণে এমনটা হচ্ছিল তা প্রথমে কেউই বুঝতে পারেননি। অনেকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের কালনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে দুজনের মৃত্যু হয়। আশা কর্মীদের থেকে এই খবর পায় পঞ্চায়েত। বাকুলিয়ার পঞ্চায়েত প্রধান গণেশ মান্ডি এই বিষয়ে বলেন, “ডায়রিয়া হয়েছে গ্রামে জানতে পেরেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে পানীয় জলের কল থেকে এই ডায়রিয়া ছড়িয়েছে। তাই কলগুলিকে খুলে ফেলা হয়েছে। পুকুরের জল ব্যবহার করতেও নিষেধ করা হয়েছে। বাঁশ দিয়ে পুকুর ঘিরে ফেলা হয়েছে। জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। গ্রামে মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হয়েছে। আশা কর্মী এএনএম থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রামে রয়েছেন”। এই বিষয়ে হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলিক কর জানিয়েছেন, “আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে। গতকাল বিএমওএইচ ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে টিম নিয়ে গিয়েছিলেন। আজ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে একটি টিম যাবে। জল থেকে না কোনও খাবার থেকে সেটা দেখা হচ্ছে”।
দেখুন অন্য খবর: