কলকাতা: চিকিৎসকদের প্রতিবাদ মিছিলকে কেন্দ্র করে আরজি কর (R G Kar Hospital Incident) হাসপাতালে চত্বরে পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধমার আন্দোলকারীদের। অন্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা আরজি করে ঢুকতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। তার জেরেই উত্তেজনা ছড়ায়। ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালের ভেতরে ঢোকাকে করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির জেরে রণক্ষেত্রে পরিণত। টেঁনে হিঁচড়ে সরানো হল। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চাইছেন না ছাত্ররা। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আটকাতে গেট আটকে প্রতিবাদ জানায় চিকিৎসকরা। আরজিকরে মহিলা চিকিৎসক ‘খুনে’ গ্রেফতার সিভিক ভলান্টিয়ার। ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত। বিশৃঙ্খলার মধ্যেই আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছলেন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলেনে নেমেছেন। তারা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সামনে জড়ো হলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায়, যার জেরে রণক্ষেত্রে সৃষ্টি হয়ে। আন্দোলনকারীদের চুলের মুঠি ধরে মারতে মারতে হাসপাতাল চত্বর থেকে সরিয়ে দিল পুলিশ।
বিক্ষোভকারী ছাত্রদের মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। কারোও জামা ছিঁড়ছে, কাউকে টেনে তোলা হচ্ছে গাড়ি। প্রতিবাদীদের কার্যত কিল-ঘুষি-চড় থাপ্পাড় মারা হয়েছে। চিকিৎসকদের প্রতিবাদ মিছিলকে কেন্দ্র করে তুলকালাম লেগে গেল আরজি কর হাসপাতালে চত্বরে।
আরও পড়ুন: তরুণী চিকিৎসকের উপর যৌন নির্যাতন হয়েছে, দাবি সিপির
আরজি করের ঘটনাকে কেন্দ্র সরব হয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী থেকে সেলেবরা। যুবতী চিকিৎসক মৃত্যুর প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে হাসপাতালের রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। এনআরএস, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএমের চিকিৎসকদের একাংশ পথে নেমেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চিকিৎসা পরিষেবাতেও প্রভাব পড়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালেই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দোষীকে কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনাকে ন্যাক্করজনক বলেছেন। চিকিৎসকদের আন্দোলনকে যুক্তিসঙ্গত বলেছেন।
অন্য খবর দেখুন