দুর্গাপুরঃ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠল চাঞ্চলকর অভিযোগ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিখোঁজ হয়ে যান নেপালের এক বাসিন্দা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তরজা। নেপাল থেকেই নিখোঁজ ব্যক্তি এসেছিলেন চিকিৎসা করাতে দুর্গাপুরের মহকুমা হাসপাতালে। আর সেখান থেকেই নিখোঁজ হন তিনি।
উল্লেখ্য, নেপালের ওই বাসিন্দার নাম ওম বাহাদুর, বয়েস ৪০। ওম বাহাদুরের দিদি শ্রেষ্ঠা তাকে দুর্গাপুরে নিয়ে এসেছিলেন চিকিৎসা করার জন্য। নিখোঁজ ব্যক্তি পেশায় কাঠের মিস্তিরি। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। যার জেরে ওই ব্যক্তির আত্মীয়রা নেপাল থেকে দুর্গাপুরের রঘুনাথপুরে নিয়ে আসা হয় ওই ব্যক্তিকে। এরপর গত ১৮ নভেম্বর তাকে ভর্তি করা হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। চলে চিকিৎসাও। ১৯ নভেম্বর হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানও হয় বিকেল বেলা ছেড়ে দেওয়া হবে ওম বাহাদুরকে।
আরও পড়ুনঃ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতেই শেয়ার বাজারে ধস আদানির
হাসপাতালের পক্ষ থেকে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিকে সুস্থ দাবি করেও, বলা হয় করতে হবে এক্সরে। এক্সরে করানোর জন্য তাকে সুনির্দিষ্ট একটি ডে শুইয়ে রেখে তার আত্মীয়রা ডাক্তারবাবুর সঙ্গে কথা বলতে যায়। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ফিরে আসার পর ওমের বাড়ির লোকজন দেখেন চিকিৎসাধীন ব্যক্তি হাসপাতালের বেডে নেই। ঘটনা সম্পর্কে নিখোঁজ চিকিৎসাধীন ব্যক্তি অবগত হওয়ার পরই তড়িঘড়ি হাসপাতাল চত্বরে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। পাশাপাশি এলাকা জুড়েও চলে খোঁজ।
নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজ না পেয়ে ওমের আত্মীয়রা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সিসিটিভি চেক করার জন্য বলেন। কিন্তু তাতেও অনীহা দেখা যায় হাসপাতালের। হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনরকম সহযোগিতা পান নি ওমের পরিবারের লোকজন বলে অভিযোগ তোলেন তারা। কোন রকম সাহায্যের অভাস না পেয়ে অবশেষে ওমের পরিবারের লোকজন দ্বারস্থ হন বিধান নগর ফাঁড়িতে। সেখানে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় পরিবারের লোকজনের পক্ষ থেকে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানও হয়েছে নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান চলছে। তবে এখনও তার সন্ধান না মেলায় চিন্তায় পরিবারের লোকজন। কিভাবে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে এইভাবে একজন রোগী নিখোঁজ হয়ে গেল! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
দেখুন অন্য খবর