নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) শাসনামলে বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই ইডি (ED) সিবিআইয়ের (CBI) নজরে। বিরোধীরা এই নিয়ে প্রায় সরব হয়ে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) ছেড়ে কথা বলেন না। প্রায় তাঁকে বিভিন্ন সভা থেকে বলতে শোনা গেছে, ‘কিছু হলেই ইডি/ সিবিআই লেলিয়ে দেবে’। ‘
এখনও পর্যন্ত মোদি জমানায় ১৯৩ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। তার মধ্যে মাত্র দুজনের সাজা নিশ্চিত করতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। বিরোধীদের দাবি এই সব মামলার কোনও সারবত্তা নেই। সমস্ত মামলাই ভিত্তিহীন। তাই তারা আদালতে কিছুই প্রমাণ করতে পারছে না।
আরও পড়ুন: ‘ওয়েলকাম ব্যাক, গোটা বিশ্ব তোমাদের মিস করছিল’, সুনীতারা ফিরতেই বার্তা মোদির
রাজ্যসভায় অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী সিপিএম সাংসদ এএ রহিমের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, বাকি নেতাদের মামলা বিচারাধীন থাকলেও কাউকেই আদালত রেহাই দেয়নি। মন্ত্রী বলেন, ইডি দল, জাত, ধর্ম বিচার করে মামলা করে না। ফলে সরকারের পক্ষে এটা বলা সম্ভব নয়, ওই ১৯৩ জন রাজনীতিবিদ কোন দলের সদস্য। প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুসারে মোদি সরকারে দ্বিতীয় দফায় ২০২৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজনীতিক ইডির তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে তদন্ত ও মামলা চলছে। এই সময়ের মধ্যে কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতা সনিয়া ও রাহুল গান্ধীকে একই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে ইডি। আয়কর সংক্রান্ত একটি মামলায় দু’জনেই জামিনে মুক্ত।
বিরোধীরা বহুদিন ধরেই দাবি করে আসছে, ইডি, সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে মোদি সরকার। বিরোধীদের হেনস্থা করতেই তাদের কাজে লাগানো হয়।
দেখুন অন্য খবর: