জলপাইগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির পড়েও বন্ধ হয়নি ডুয়ার্সের নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি পাচার (Sand Smuggling)। বর্ষার মধ্যেও নদী থেকে বেআইনিভাবে চলছে বালি উত্তোলন। বন্ধ হয়নি নদীর গা ঘেঁসে থাকা পাথর ভাঙার মিলও। প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা।
সদ্য ভুটান এবং সিকিম পাহাড়ে একটানা বৃষ্টির জেরে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় লিস নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকা। আর সেই নদী থেকেই এখনও চলছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন। এমনকি মাল মহকুমার চেলঘিস নদীতেও একই ছবি।
আরও পড়ুন: ফাটল চওড়া বঙ্গ বিজেপিতে? শুভেন্দুর ধরনাতে থাকছেন না সুকান্ত, দিলীপ
জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, ১ জুলাই থেকে সমস্ত নদী থেকে বালি, পাথর তোলা বন্ধ। সরকারি খাদানগুলি থেকেও বন্ধ। নির্দেশিকাকে অমান্য করে পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় মালবাজারে চেলঘিস, লিস্ নদী থেকে বালি চুরি করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।
রীতিমতো নদীর মধ্যে ট্রাক্টর, লরি নামিয়ে তোলা হচ্ছে বালি – পাথর। এমনকি ঘিস নদীর গা ঘেঁষে রয়েছে ক্র্যাশার অর্থাৎ পাথর ভাঙার মিল। যেখানে পাথর ভাঙা হচ্ছে সবসময়। রীতিমতো উদ্বিগ্ন নদী বিশেষজ্ঞরা। যেভাবে নদীতে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে এবং নদীর বুকে ক্রাসার গড়ে তোলা হয়েছে তার ফলে যে কোনও সময় বড় বিপদ ঘটতে পারে। নদীর বুকে বড় বড় ঘর তো তৈরি করা হয়েছে। যেখানে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নদী বিশেষজ্ঞরা।
প্রশ্ন উঠছে কী করে পুলিশ প্রশাসনের নাগের ডগায় ভরা বর্ষার মরশুমে নদীতে নামছে গাড়ি? নদীর ওপরেই চলছে একপ্রকার বেআইনি ভাবে পাথর ভাঙার মিল। গোটা ঘটনা নিয়ে রীতিমতো শুরু হয়েছে বিতর্ক। পাথর ভাঙা মিল বন্ধের অভিযোগ তুলছে বিজেপি।
আরও খবর দেখুন