ওয়েব ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলি দেশটির জন্য এক নতুন সঙ্কটের দিক নির্দেশ করছে। সরকার এবং জনগণ উভয়ের জন্য একটি গুরুতর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রশ্নবিদ্ধ। অপরদিকে, বিদেশি শক্তির চাপে বা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অস্থিরতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ও নেতৃত্বও খর্ব হচ্ছে।
বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতি থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি কয়েকটি সংকটের সম্মুখীন হয়েছে আমেরিকা। করোনা মহামারির পরপরই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও, উচ্চতর মূল্যস্ফীতি, ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং শ্রমবাজারে অসন্তোষ এসব সংকটের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি ও খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বাড়ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের ওপর সরাসরি চাপ সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন: ২২৩৭ কোটি টাকা ঘুষ! আমেরিকায় আদানির নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা
রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রে গভীর অস্থিরতা চলছে। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে দলীয় বিভাজন এবং নির্বাচনী অস্থিরতা দেশটির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে রাজনৈতিক লড়াই এবং নতুন নীতির প্রতি বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গি জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। এর ফলে, সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারছে না, যার কারণে জনগণ সরকারের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে উঠছে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি ও প্রভাবও কমে আসছে। চীনের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের টানাপোড়েন, ইরান এবং রাশিয়ার সাথে কূটনৈতিক অশান্তি, এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিশ্ব রাজনৈতিক সমস্যাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব নেতৃত্বে এক ধরনের প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করেছে। এর পাশাপাশি, মার্কিন প্রশাসনের আস্থা এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সাথে সম্পর্কের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
শেষপর্যন্ত, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক দিক থেকে যে ‘দৌড়ের’পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা দেশটির ভবিষ্যতের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠতে পারে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের উপযুক্ত কৌশল গ্রহণ করা, জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে সুসংহত করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দেখুন আরও খবর: