জয়জ্যোতি ঘোষ, কলকাতা
প্রথমার্ধে পেনাল্টি মিস এবং ছন্নছাড়া ডিফেন্স। যার ফলও ভোগ করলো ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ম্যাচের ১২ মিনিটে পেনাল্টি পায় লাল-হলুদ বাহিনী। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না ক্লেটন সিলভা। ক্লেটনের পেনাল্টি শটে দুর্দান্ত সেভ মোহনবাগান (Mohun Bagan) গোলরক্ষক বিশাল কেইথের। এরপর মোহনবাগানের তরফ থেকে চলতে থাকে মুহূর্মুহু আক্রমণ। ম্যাচের ২৭ মিনিটে দিমিত্রির গোলমুখি শট বাঁচানোর চেষ্টা করেন লাল-হলুদ গোলরক্ষক। কিন্তু লাভ কিছুই হয়নি। ডিফ্লেক্ট হওয়া বল পেয়ে মোহনবাগানের হয়ে প্রথম গোল করেন জেসন কামিংস। এর ঠিক ৯ মিনিট পর দিমিত্রি পেত্রাতোসের সাজিয়ে দেওয়া বলে গোল করলেন লিস্টন কোলাসো। এখানেই শেষ নয়। প্রথমার্ধের একদম শেষ লগ্নে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। ক্লেটনের মতো সেই সুযোগ হাতছাড়া করলেন না মোহনবাগানের প্রানভোমরা দিমিত্রি পেত্রাতোস। প্রথমার্ধের শেষে স্কোরলাইন মোহনবাগান(৩) – ইস্টবেঙ্গল(০)।
আরও পড়ুন: ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজে কী কী রেকর্ড হলো? দেখুন একনজরে
দ্বিতীয়ার্ধে পাল্টা আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে ইস্টবেঙ্গল। শুরুতে ক্লেটনের সাজানো পাসে বিশ্বমানের দৃষ্টিনন্দন গোল করেন ক্রেসপো। এরকম গোল দেখতে মাইলের পর মাইল পথ হেঁটে যাওয়া যায়। ইস্টবেঙ্গল আক্রমণ বাড়াচ্ছে দেখে রক্ষণ জমাট করার স্ট্র্যাটেজি নেন মোহনবাগান কোচ হাবাস এবং সফলও হন। ফলস্বরূপ ম্যাচ শেষ হওয়া পর্যন্ত স্কোরলাইনের আর কোনও পরিবর্তন হয়নি- মোহনবাগান(৩)- ইস্টবেঙ্গল(১)। ফিরতি ডার্বির শেষে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেসের গেমপ্ল্যান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সুপার কাপ জয়ের পরবর্তী হানিমুন ফেজ বোধহয় শেষ কার্লেস কুয়াদ্রাতের!