শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরে মদের উপর নিষেধাজ্ঞার দাবিতে চাপ বাড়াচ্ছে রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় নেতারা (Liquor Ban in Jammu and Kashmir)। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, এই অঞ্চলে মদের বিক্রি ও প্রচার পুরোপুরি বন্ধ করা উচিত। কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ উল্টো পথে হাঁটছে। নতুন আবগারি নীতি অনুযায়ী, জম্মুর ১০টি জেলা এবং কাশ্মীর উপত্যকার চারটি জেলায় মোট ৮৩টি নতুন মদের দোকান খোলার জন্য লাইসেন্স দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে।
২০২৫-২৬ সালের আবগারি নীতি (Excise Policy 2025-26) অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্ত ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে এবং ৩১ মার্চ ২০২৬ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। নীতিতে উল্লেখ রয়েছে, ই-নিলামের মাধ্যমে পৃথক ইউনিটের আকারে অফ-প্রিমিসেস মদের খুচরো বিক্রির জন্য লাইসেন্স প্রদান করা হবে। এর ফলে জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন মদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিশেষত কাশ্মীর উপত্যকার ১৪টি স্থানে নতুন দোকান চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শ্রীনগরের সাতটি ওয়ার্ড, সোনমার্গ, পহেলগাঁও, গুলমার্গ, বারামুল্লা, উরি এবং কুপওয়ারা পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে এই দোকানগুলি খোলা হবে।
আরও পড়ুন: গ্রেফতার অধীর চৌধুরীর প্রাক্তন ব্যক্তিগত সচিব প্রদীপ্ত রাজ পুরোহিত
সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিরোধী দলগুলি সরব হয়েছে। পিডিপি (PDP) প্রথম এই বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার দাবি তোলে। কুপওয়ারার বিধায়ক মীর মহম্মদ ফায়াজ জম্মু ও কাশ্মীরে মদের বিজ্ঞাপন, বিক্রি, ব্যবহার ও উৎপাদন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার জন্য ব্যক্তিগত সদস্য বিল বিধানসভায় পেশ করেছেন। এনসিপি (NCP) বিধায়ক আহসান শেখ এবং লাঙ্গেটের নির্দল বিধায়ক শেখ খুরশিদ আহমেদও বাজেট অধিবেশনে তাঁদের বিল উত্থাপন করেছেন।
এই বিতর্কের মাঝে, মেহবুবা মুফতির কন্যা ইলিতজা মুফতি (Iltija Mufti) জানিয়েছেন, “আমাদের আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধ সমাজে মদের কোনও স্থান নেই। সাধুদের দেশ নামে পরিচিত এই ভূখণ্ড মদের ব্যবসার জন্য কলঙ্কিত হওয়া উচিত নয়।” বিজেপি (BJP) কাশ্মীরে মদের উপর নিষেধাজ্ঞার দাবিকে সমর্থন করেছে। জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের (Jammu and Kashmir Waqf Board) চেয়ারপার্সনও এই দাবির পক্ষেই মত দিয়েছেন। শ্রীনগরের লালচৌকের ব্যবসায়ীরাও পর্যটকদের মদ এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানিয়ে পোস্টার লাগিয়েছিলেন, যদিও পরে পুলিশ তা সরিয়ে দেয়।
দেখুন আরও খবর: