জলপাইগুড়ি: রবিবার জলপাইগুড়ি শহরে টোটো নিয়ন্ত্রণে ময়দানে নামল পুরসভা ও ট্র্যাফিক পুলিশ। শহরের প্রবেশ পথের সাত জায়গায় ব্যারিকেড করা হয়েছে। সেখানে টোটা চালকদের পরিচয় পত্র, আই কার্ড ও টোটোর কাগজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি শহরের অসম মোড়, ইন্দিয়া কলোনি, পাণ্ডা পাড়া, ৭৩ মোড় সহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে এই অভিযান। বাইরের টোটো শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে টোটো। শনিবার টোটো রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা শেষ হয়েছে বলে দাবি পুরসভার। প্রায় সাড়ে তিন হাজার শহর ও শহরতলীর টোটো চিহ্নিত হয়েছে। পাঁচ হাজার টোটো শহরে চলার অনুমতি দেবে পুরসভা। জলপাইগুড়ি শহরের যানজট সমস্যা মেটাতে পুরসভা, ট্র্যাফিক পুলিশ, পরিবহণ দফতর ও টোটো সংগঠন বৈঠকে বসেছিল। সিদ্ধান্ত হয়, শুধুমাত্র পুর এলাকা ও খড়িয়া, পাতকাটা, পাহাড়পুর, অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার টোটো শহরে চলবে। এর বাইরের টোটো চালকেরা শহরে প্রবেশ করতে পারবেন না।
টোটো চালকদের উদ্দেশে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে পুরসভা। প্রথমত, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় টোটো চালক ধরা পরলে এক হাজার টাকা জরিমানা। দ্বিতীয়ত, পুরসভার রেজিস্ট্রেশন বাতিল ও টোটো বাজেয়াপ্ত করবে পুরসভা। টোটো চালকের পাশে যাত্রী থাকলে প্রথমবার পাঁচশো টাকা, দ্বিতীয় বার এক হাজার টাকা জরিমানা হবে। তৃতীবার ওই চালকের পাশে যাত্রী থাকলে পুরসভার রেজিস্ট্রেশন বাতিল ও টোটো বাজেয়াপ্ত করবে প্রশাসন।
অতিরিক্ত যাত্রী ভাড়া ও অন্য টোটোর পাশ দিয়ে অতিক্রম করা টোটো চালককে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে। সব ক্ষেত্রের জরিমানা টাকা পুরসভার ক্যাশ কাউন্টারের জমা দিতে হবে। নির্দিষ্ট এলাকার টোটো চালকদের পুরসভার টিন (টেম্পুয়ারি আইডিন্টি নম্বর) টোটোয় লাগাতে হবে। টোটো কেনার বিলের ফটো কপি, পুরসভার আই কার্ড ও আধার কার্ড রাখতে হবে। পুরসভার দাবি, ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুরোনো আই কার্ড পরিবর্তন করে নতুন কার্ড ও টিন নিতে পারবেন চালকেরা।
