মহারাষ্ট্র: সদ্য সমাপ্ত মহারাষ্ট্র (Maharastra) বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly polls) মুখ থুবড়ে পড়েছে মহা বিকাশ আগাড়ি জোট। একই অবস্থায় কংগ্রেস। দলের এই বিপর্যয়ের ভার কাঁধে নিয়ে কংগ্রেসের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নানা পাটোলে (Nana Patole)। রবিবার ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
২৮৮টি আসনের মধ্যে মাত্র ১৬টি আসন পেয়েছে শতাব্দী প্রাচীন এই দলটি। যদিও কংগ্রেস হাই কম্যান্ডের তরফে এখনও পর্যন্ত নানার পদত্যাগ গৃহীত হয়নি। তবে বিকল্প প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির খোঁজ শুরু করেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেই খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত নানা পাটোলাকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের তরফে।
উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে মহায়ুতি জোট ২৮৮টি আসনের মধ্যে ২৩৫টি আসন পেয়েছে। বিজেপি একাই পেয়েছে ১৩২ আসন। আলাদা রাজ্য হওয়ার পরে এই প্রথম মহারাষ্ট্রে কোনও বিরোধী দলনেতা থাকছে না।
আরও পড়ুন: পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধি করছে ইরান, আমেরিকার বিপদ বাড়বে?
মহারাষ্ট্রে দীর্ঘদিন রাজ্যপাট চালিয়েছে কংগ্রেস। নির্বাচনে কংগ্রেসের এই ভরাডুবির পর দলের দিকেই আঙুল তুলেছেন দলের নেতা কর্মীরা। দলের অন্দরের খবর, নানা পাটোলের কাজকর্মের জন্য দল ছেড়েছেন অশোক চ্যাবন, মিলিন্দা দেওরার মতো রাজনৈতিক নেতারা। দুজনেই বিজেপি-শিবসেনায় যোগ দিয়েছেন।
নানার আলটপকা মন্তব্যেও খুশি ছিল না দল। নির্বাচনের ফলাফলের দুই দিন পাটোলে দাবি করেন, যে নির্বাচনের পরে গঠিত মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার কংগ্রেসের নেতৃত্বে থাকবে। সঞ্জয় রাউত এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে জানান, এই ধরনের কথা তিনি মেনে নেবেন না।
মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের ভরাডুবি নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী শনিবার বলেন, কেন এই বিপর্যয় হল তা পরবর্তীতে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে।
অপরদিকে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, “এই ফলাফলের আমার কাছে কোনও ব্যাখ্যা নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এই জয় উন্নয়নের জয়। ফলাফল প্রকাশের আগে এত ভাষণ শোনা যায়নি বিজেপি নেতাদের মুখে। টার্গেট করে এই ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। পরাজয় স্বীকার করে নিয়ে জয়রাম রমেশ বলেন, তবে আমরা নিশ্চিতভাবে হেরেছি। হারের কারণ বিশ্লেষণ করে আমাদের দলকে আরও মজবুত করতে হবে।
দেখুন অন্য খবর: