পশ্চিম মেদিনীপুর: চন্দ্রকোনায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী আলু চাষী (Potato Farmer)! ঋণ নিয়ে চাষ করে প্রবল বৃষ্টিতে (Rain) ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে আত্মহত্যা। দাবি মৃতের স্ত্রীর। রবিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন হবে মৃতের ময়নাতদন্ত।
ঋণ নিয়ে প্রায় চার বিঘা জমিতে পোখরাজ ও অন্যান্য আলু চাষ করেছিলেন চন্দ্রকোনা লাহিরগঞ্জ এলাকার বাপি ঘোষ নামে ওই কৃষক। তবে অকাল বৃষ্টিতে আলুর জমি পুরো ডুবে যায়। প্রচুর টাকা ঋণ নিয়ে চাষ করার পর ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় মানসিক অবসাদে গিয়েছিলেন ওই কৃষক। এর জেরেই শুক্রবার গভীর রাতে বিষ খায় ওই চাষী। এরপর দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পরে অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সকালে থেকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শনিবার রাতে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। রবিবার দুপুরে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে মৃতের।
আরও পড়ুন: ঘর থেকে ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
বাপি ঘোষের মৃত্যুর পরেই শোকের ছায়া লাহিরগঞ্জ গ্রামে। এলাকার মানুষের দাবি, চাষ করেই চলছিল বাপির সংসার। স্ত্রী ও এক পুত্রকে নিয়ে সংসার তার। মৃত কৃষক পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন চন্দ্রকোনার বিধায়ক অরূপ ধাড়া। মৃতের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বললেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন তিনি। বিধায়ক অরুপ ধাড়া বলেন, যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। আমরা সকলেই ওই মৃত পরিবারে এসে উপস্থিত হয়েছি।পাশে থাকার কথা জানিয়েছি। মৃত বাপি ঘোষ আমাদের দলেরই একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। এক্ষেত্রে দল সবসময় তাঁদের পরিবারের পাশে থাকবে। ছোটো একটা বাচ্চা আছে। সেই শিশুর ভবিষ্যৎ আছে। সে যাতে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মানুষের মতো মানুষ হতে পারে তার দায়িত্ব আমরা নিচ্ছি।সমস্ত রকম সরকারি সুযোগ সুবিধা আমাদের সরকার তাঁদের দেবে।
আরও খবর দেখুন