পুরুলিয়া: গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) যাওয়ার পথে তিন সাধুর উপর শারীরিক নির্যাতনের (Monks Physical Abuse) অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে কাশিপুর থানার গৌরাঙ্গডি গ্রামে। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার (Purulia) কাশীপুরে আক্রান্ত হন উত্তরপ্রদেশের বেরলি থেকে আসা তিন সাধু। অভিযোগ, তাদের মরধর করা হয়, ভাঙচুর করা হয় তাঁদের গাড়ি। বাসিন্দাদের অভিযোগে, তিন সাধু সহ পাঁচ জন এলাকায় কিছু তরুণীকে নিগ্রহের চেষ্টা করে। তারপরই গ্রামবাসীরা তাদের উপর চড়াও হয়। পরে পুলিশ গিয়ে আক্রান্তদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিজেপি। এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ১২ জন। ১২ অভিযুক্তকে শনিবার রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হবে। শনিবার তাঁদের পুরুলিয়ার চকবাজারের বড় কালী মন্দিরে পুজো দেন সাংসদ। তাদেরকে সসম্মানে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার কাশিপুরে গৌরাঙ্গডি গ্রামে উত্তর প্রদেশের বেরেলি থেকে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে আসা তিন সন্যাসী গ্রামে আসেন। পাঁচজন একটি চার চাকার গাড়িতে গঙ্গাসাগর যাচ্ছিলেন। স্থানীয় একটি দোকানদারকে জিজ্ঞেস করে বাঁকুড়া যাওয়ার রাস্তা কোন দিকে। সেই সময় দোকানদার তাদের কাছে জানতে চান তারা কোথায় যাবেন। তারা জানান তারা গঙ্গাসাগর যাবেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেখানে তিন তরুণী সাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় গাড়ি নিয়ে তাদের পিছু ধাওয়া করেছিল ওই সাধুরা। ভয়ে ওই তরুণীরা সাইকেল ফেলে পাশের একটি ইট ভাটায় পৌঁছান। ছেলে ধরার গুজর রটতেই ওই গাড়িকে ঘিরে ধরে এলাকার মানুষ মারধর করে ওই সাধুদের। ভাঙচুর করা হয় গাড়িও।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা, বন্ধ ফেরি, ব্যাহত ট্রেন চলাচল
আক্রান্ত সাধুদের দাবি, তারা গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথে গৌরাঙ্গডি মোড়ে নেমেছিলেন। সেখানে কয়েকজন তাদের টাকা পয়সা দিয়ে সেবা করেন। ওই সময় তিন তরুণীকে পথ জানার জন্য জিজ্ঞেস করার জন্য ডেকেছিলেন।ভাষাগত সমস্যার জন্য তারা ভুল বুঝে ভয়ে পালিয়ে যায়। তারপর আচমকা তাদের গাড়ি আটকে ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ গিয়ে আক্রান্তদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। উদ্ধার করা হয় ভাঙা চোরা চার চাকার গাড়িটি।
বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো বলেন, সন্ন্যাসীদের গাড়ি যখন কাশিপুর থানার গৌরাঙ্গডি গ্রামে পৌঁছেছেন তখনই এক সিভিক ভলেন্টিয়ার সেখ আনোয়ার তাদের গাড়ি আটকায়। তারপর স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাদের ব্যাপক মারধর করে। তাদের উলঙ্গ করে পিটুনি দেওয়া হয়। সংসদের আভিযোগ, এই গণ পিটুনির শিকার সন্যাসীদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় তাদের পেছনের দরজা দিয়ে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে কাশিপুর থানার পুলিশ। সাংসদ এই ঘটনার জন্য সন্যাসীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।
আরও অন্য খবর দেখুন